|
|
|
|
রাহুলের নজর তবু সংগঠনেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ডিএমকে সমর্থন প্রত্যাহার করায় দৃশ্যত অস্থির সরকার। সংসদ চালাতে জেরবার কংগ্রেস। কিন্তু রাহুল গাঁধীর দেখা নেই। সনিয়া গাঁধী যখন শরিক সঙ্কট সামলাচ্ছেন, তখন কংগ্রেসের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ব্যস্ত সংগঠন নিয়ে। কাল বিহারের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন রাহুল। আজ উত্তরপ্রদেশ ও অসমের নেতাদের নিয়ে কংগ্রেস সদর দফতরে বৈঠক করলেন তিনি।
সূত্রের খবর, দলীয় নেতাদের রাহুল আজ বলেন, আর বিশেষ সময় নেই। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির জন্য এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। নিজের নিজের নির্বাচন কেন্দ্র থেকে আর নড়লে চলবে না। আঠার মতো লেগে থাকতে হবে সেখানে।
সংগঠন নিয়ে এ ভাবে দিনের পর দিন বৈঠক করে গেলেও রাহুল এখনও খুব সক্রিয় ভাবে রাজ্য সফরে নামেননি। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন নিজেকে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তুলে ধরে গোটা দেশকে বার্তা দিতে চাইছেন, তখন রাহুল কিন্তু এক প্রকার নীরবই রয়েছেন। এমনকী দলের বৃহত্তর দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রায় দু’মাস হয়ে গেলেও তিনি কোনও সাংগঠনিক রদবদল করেননি।
এই অবস্থায় রাজনীতির কারবারিদের অনেকেই রাহুলের দক্ষতা ও ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নও তুলতে শুরু করেছেন। অনেকে এও বলছেন, রাহুলকে সেনাপতি করে মোদীর সামনে থালা সাজিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, লোকে যাই বলুন, দলের একটা সুবিধা হয়েছে। মা ও ছেলে কাজ ভাগ করে নেওয়ায় শরিক সম্পর্ক রক্ষা থেকে শুরু করে সরকারের কাজকর্ম এবং সংগঠন সবেতেই সমান নজর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে যতই নেতিবাচক পরিস্থিতি হোক এই প্রথম দলের মধ্যে একটা সমন্বয়ের ছবি
দেখা যাচ্ছে। |
|
|
|
|
|