ব্যবসা বাড়ানোর দৌড়ে অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের স্পেশালিটি রেস্টোর্যান্টস-এর বাজি এ বার কেটারিং। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা রেস্তোরাঁ সংস্থাটির বাঙালি কর্ণধার অঞ্জনবাবুর দাবি, এক বছরের মধ্যেই আউটডোর কেটারিংয়ের ওই ব্যবসা থেকে আয়ের অঙ্ক দাঁড়াবে ১০০ কোটি টাকা।
কোন সম্ভাবনার ভিত্তিতে নতুন ব্যবসা নিয়ে তিনি আশাবাদী, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অঞ্জনবাবু। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির বাসভবনের ভোজ থেকে শুরু করে কর্পোরেট দুনিয়ার ‘পাওয়ার লাঞ্চ’ নিখুঁত ব্যবস্থাপনায় ভাল খাবার পরিবেশনের চাহিদা সর্বত্র। তার সুবাদেই সম্ভাবনা বাড়ছে কেটারিং ব্যবসার। বিশেষজ্ঞদেরও দাবি, দেশে এখন আউটডোর কেটারিংয়ের অসংগঠিত ব্যবসার অঙ্ক অন্তত ৬ হাজার কোটি। তাই রেস্তোরাঁর পর এই ক্ষেত্রে পুরোদস্তুর পা রাখাকে ব্যবসা বিস্তারের স্বাভাবিক পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন তিনি।
রেস্তোরাঁ ব্যবসায় যেমন প্রথম থেকে ব্র্যান্ড তৈরিতে জোর দিয়েছেন, কেটারিংয়েও ঠিক তা-ই। যে কারণে ও-ক্যালকাটা, মেনল্যান্ড চায়না, হাকা, সিগরি-র মতো কেটারিং ব্যবসাতেও পৃথক ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন অঞ্জনবাবু। নাম মোবিফিস্ট। সংস্থার মোট ব্যবসা ২৫০ কোটি থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করতে যা বড় ভূমিকা নেবে বলেই তাঁর দাবি। অবশ্য ব্যবসা বাড়াতে নয়া রেস্তোরাঁ ব্র্যান্ডেরও হাত ধরছে অঞ্জনবাবুর সংস্থা।
চালু হচ্ছে নয়া রেস্তোরাঁ মেজুনা। প্রাতরাশ থেকে নৈশভোজ পর্যন্ত সারাদিনই খাবার পাওয়া যাবে যেখানে। পরিকল্পনা রয়েছে চটজলদি খাবারের বিপণি বা কুইক সার্ভিস রেস্তোরাঁ খোলারও। বিদেশি ব্র্যান্ডের হাত ধরে এই ব্যবসায় আসতে চায় তারা।
স্পেশালিটি রেস্টোর্যান্টসের যাত্রা শুরু বারো বছর আগে, মুম্বইয়ে। ওনলি ফিশ রেস্তোরাঁ দিয়ে। পরে দিল্লি, পুণে, চেন্নাই, হায়দরাবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে ব্যবসা ছড়িয়েছে। কলকাতা অবশ্য অঞ্জনবাবুর সংস্থার ‘ডিশ’ প্রথম চেখেছে চিনে খাবারের রেস্তোরাঁ মেনল্যান্ড চায়নার দৌলতে। সংস্থায় কর্মী সংখ্যা এখন দু’হাজারেরও বেশি। চলতি বছরেই দরজা খুলবে আরও ১৬টি রেস্তোরাঁর। এই অবস্থায় আগামী দু’বছরে ব্যবসার অঙ্ক ৫০০ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়াকে পাখির চোখ করছেন অঞ্জনবাবু। আর তার জন্য কেটারিং ব্যবসার সম্প্রসারণই তাঁর অন্যতম বাজি। |