|
|
|
|
পড়শি যুবক খুন |
যাবজ্জীবন সাজা ভাই-বোনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
পড়শি যুবককে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল ভাই বোনের। বুধবার রামপুরহাট ফাস্ট ট্র্যাক তৃতীয় আদালতের বিচারক মানস বসু ওই সাজা শোনান। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মিলনী মাল ও ভরত মাল। মুরারই থানার মুর্শিদপাড়া গ্রামে তাদের বাড়ি। সরকারি আইনজীবী পূর্ণিমা সরকার বলেন, “২০১০ সালের ২৬ মে দুপুর ১টা নাগাদ মুর্শিদপাড়ার বাসিন্দা বিপদ মাল জমিতে চাষের কাজ সেরে বাড়িতে ফিরতেই পড়শি ভরত মাল ও পরেশ মাল বিতর্কিত নালা নিয়ে বিপদ মালের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে।”
তিনি জানান, বিপদ মালকে প্রথমে পরেশ ও ভরত মাল চড় ও ঘুষি মারে। ঝগড়া চরম পর্যায়ে পৌঁছলে পরেশ ও ভরত দুই ভাইয়ের হাতে তলোয়ার ও হাঁসুয়া তুলে দেয় তাদের দিদি মিলনী মাল। অন্য দিকে, তাদের বাবা মহাদেব মাল বাড়ি থেকে ছেলেদেরকে বিপদ মালকে শেষ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে পরেশ ও ভরত অস্ত্র দিয়ে বিপদবাবুর দেহে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিপদবাবুর। ঘটনার পরেই তারা এলাকা ছেড়ে পালায়। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ মহাদেব ও মিলনীকে বাড়িতে তালাবন্দি করে রাখেন। পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। পরবর্তীতে বিপদ মালের বৌদি ভারতী মাল পুলিশের কাছে মহাদেব মাল, তার ছেলে পরেশ ও ভরত এবং মেয়ে মিলনী মালের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন মহাদেব মাল মারা যায়। পরেশ মাল বেপাত্তা হয়ে যায়। মামলায় ভরত ও মিলনী মালকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এ দিন বিচারক ভাই-বোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনান। |
|
|
|
|
|