এজলাসেই আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির
বিচারকের রায় শোনার পরে এজলাসেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক খুনের আসামি। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট আদালতে। ওয়াব শেখ নামে মুরারইয়ের কনকপুর গ্রামের বছর পঞ্চাশের ওই আসামিকে রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খুনের মামলার আর এক আসামি ওয়াব শেখের দাদা কুদ্দুস শেখ ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে জেলহাজতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সরকারি আইনজীবী দেবপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানান, ২০০৮ সালের ১৬ এপ্রিল কনকপুরে পুকুরে চান করা নিয়ে কাজিবুল শেখের সঙ্গে পড়শি লালন শেখের ঝগড়া হয়। পরে পূর্ব আক্রোশবশত অস্ত্র ও অ্যাসিড বাল্ব নিয়ে কাজিবুলের বাড়িতে চড়াও হয় লালন ও তার সঙ্গীরা। কাজিবুলকে বাইরে বের করে এনে লাঠি ও টাঙ্গি দিয়ে মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের ভাইপো লালন, মিলন, ওয়াব, সেলিম, কুদ্দুস, কোয়াতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। জামিনে থাকা আসামিদের বুধবার রামপুরহাট ফাস্ট ট্র্যাক প্রথম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুধীর কুমারের এজলাসে তোলা হয়েছিল। এক এক করে ডেকে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসামি কুদ্দুস বলে, “দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে ভাই পকেটে থাকা কীটনাশক খেয়ে ফেলে। প্রথমে বুঝতে পারিনি। এজলাস থেকে বেরিয়ে আসার পরে ভাই বমি করতে থাকে। তখন ও জানায়, কীটনাশকের ট্যাবলেট খেয়েছে।” তার দাবি, মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করায় ভাই কীটনাশক খেয়েছে। রামপুরহাট উপ-সংশোধনাগারের সুপার অরুণ হালদার বলেন, “আমাদের কাছে ৬ জন আসামি যখন এসেছিল, তখন এক জন অসুস্থ বুঝতে পারি। জানতে পেরে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.