বাস্তুকারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ
চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল চায় যুব কংগ্রেস
সেচ ও জলপথ দফতরের উত্তর দিনাজপুর ডিভিশন অফিসে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার দাবিতে আন্দোলনে নামল রায়গঞ্জ বিধানসভা যুব কংগ্রেস কমিটি। মঙ্গলবার সংঠনের কয়েকশো কর্মী সমর্থক বেলা ১১ টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা রায়গঞ্জের এফসিআই মোড় এলাকায় ওই দফতরের ডিভিশনাল নির্বাহী বাস্তুকারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীরা নির্বাহী বাস্তুকারের টেবিল চাপড়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে কাচ ভেঙে যায়। দুপুর ২টো নাগাদ নির্বাহী বাস্তুকার আন্দোলনকারীদের কয়েক দিনের মধ্যে লিখিত ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া জানানোর ও দফতরের অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
নিবাহী বাস্তুকার প্রশান্ত দাস বলেন, “১৮ জন যুবক কর্তৃপক্ষের দেওয়া বৈধ নিয়োগপত্র নিয়ে সোমবার দফতরে চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে যোগ দিতে এসেছেন। তবে এ ব্যাপারে এখনও আমার কাছে কোনও নির্দেশ না আসায় কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিইনি।” এর পাশাপাশি, দফতরের অস্থায়ীদের স্থায়ীকরণের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন বলে প্রশান্তবাবু জানান।
সোমবার দুপুরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা ওই ১৮ জন যুবক নিয়োগপত্র নিয়ে চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে যোগ দিতে সেচ ও জলপথ দফতরের উত্তর দিনাজপুর ডিভিশন অফিসে যান। রায়গঞ্জ বিধানসভা যুব কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অভিজিত সাহা বলেন, যোগ্য বেকার যুবক যুবতীদের বঞ্চিত করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে রাজ্য সরকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়া বেছে বেছে তৃণমূল সমর্থকদের চাকরি দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। ১৮ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা না হলে সেচ ও জলপথ দফতর ঘেরাও করা হবে।
সংগঠনের রায়গঞ্জ লোকসভা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দ্বীপায়ন সেনগুপ্ত বলেন, সেচ ও জলপথ দফতরের রায়গঞ্জ ডিভিশন অফিসে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দুই অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ীকরণ না করে বেআইনিভাবে নিয়োগের চেষ্টা চলছে। আমরা ওই দুই অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ীকরণ করে ১৮ জন কর্মীর নিয়োগ প্রক্রিয়া লিখিত ভাবে জানানোর দাবি জানিয়েছি। তিনি জানান, কয়েক দিনের মধ্যে দাবিপূরণ না হলে প্রয়োজনে তাঁরা আইনের পথে যাবেন। চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগপত্র পাওয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট এলাকার বাসিন্দা শুভ্র বিশ্বাস ও গোপাল রায়ের দাবি, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁরা সংবাদপত্রে নিয়োগ বিজ্ঞাপন দেখে চাকরির আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গত ১৪ মার্চ তাঁরা কলকাতার জলসম্পদ ভবনে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে ওই দিনই হাতে হাতে নিয়োগপত্র পান। এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য বলেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারি ব্যাপার। দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.