রোগীদের উপরে প্রভাব খাটিয়ে ওষুধ বিক্রি বন্ধ করা, হাসপাতাল চত্বরে অবৈধ অ্যাম্বুল্যান্সের কারবার বন্ধ করতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে রামপুরহাট হাসপাতাল সুপারের কাছে এই সব নানা অভাব-অভিযোগ জানান জয়কৃষ্ণপুর, দিঘিরপাড়, হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মী নন, এমন সব লোকজন চিকিৎসক ও কম্পাউন্ডারের সামনে রোগীর টিকিট লেখেন। শুধু তাই নয়, কোন রোগীকে অন্যত্র রেফার করা হবে, তাও লিখেদেন। পরবর্তীতে নিজেদের অ্যাম্বুল্যান্স করে বাইরের নার্সিংহোমে নিয়ে যান। এই ধরনের ব্যবসায় হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীসকলেই জড়িত। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “সম্প্রতি হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু হয়েছে। আশা করি এ বার দালালদের উপদ্রব কমবে।” তাঁর আশ্বাস, “সীমিত চিকিৎসক, নার্স এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মী দিয়ে উন্নত পরিষেবা কী ভাবে দেওয়া যায়, তার চেষ্টা চলছে।
এ দিন ১২ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিতে আসা বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী অনুপ চৌধুরী তৃতীয় শ্রেণির কর্মীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আবাসনে বেআইনী ভাবে থাকছেন। অথচ এ ব্যপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীন। সাত দিনের মধ্যে ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁরা ওই কর্মীর বদলির দাবি জানিয়েছেন।
হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মী অনুপবাবু বলেন, “১০ বছর ধরে ওই কোয়ার্টারে আছি। কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। সম্প্রতি আমার মেয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিল বলেই উল্টোপাল্টা অভিযোগ উঠছে।” অন্যের আবাসন ও আবাসনের পাশে গাড়ি রাখার জায়গা করে নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, “হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা এ রকম করেছেন বলেই আমিও করেছি।” হাসপাতাল সুপার জানান, কোনও কর্মীকে বদলির দায়িত্ব তাঁর উপর বর্তায় না। তা ছাড়া, আগের সুপার অনুপবাবুর আবাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। |