গ্রীষ্মের মরশুম শুরুর আগেই পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানীয় জলের আকাল শুরু না হলেও নোংরা মিশ্রিত নলবাহিত জল সরবরাহ করা হচ্ছে। কোথাও ঘোলা জল, কোথাও আবার জলের সঙ্গে ছোট ছোট নানা আবর্জনার টুকরোও পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় পুর প্রতিনিধিদের জানিয়েও লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।
পুরুলিয়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নির্মল হালদারের কথায়, “আমাদের এলাকায় পুরসভার নলবাহিত জলের সঙ্গে নোংরা বের হচ্ছে। কখনও কখনও কাদা মেশানো জল আসছে। ওই দুগর্ন্ধযুক্ত জল পান করা যাচ্ছে না।” তাঁর অভিযোগ, ওই জল খেয়ে কয়েক দিন ধরে তিনি পেটের রোগে ভুগেছেন। |
পাশের ২১ নম্বর ওয়ার্ডেও একই অভিযোগ শোনা গিয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা অশোক দত্ত বলেন, “জলে নোংরা তো আছেই, দুর্গন্ধও রয়েছে। ওই জল পান করতে ভয় লাগছে। কারণ কিছুদিন আগেই শহরে নলবাহিত জল থেকেই আন্ত্রিক ছড়িয়েছিল।” ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্নেহাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বা ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাধন মাহাতোর বক্তব্যও এক। তাঁদের কথায়, দিন সাত-আট ধরে নোংরা জল মিলছে। অথচ কারও হুঁশ নেই।
শহরে পানীয় জল সরবরাহের দায়িত্ব পুরসভার। পুরপ্রধানকে তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার অনুরোধ জানিয়ে বুধবার পুরসভার বিরোধী কংগ্রেস পুরপিতারা চিঠিও দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, শহরের কিছু এলাকায় পানীয় জলের সঙ্গে নোংরা মিশছে। মাসখানেক আগে শহর আন্ত্রিকের প্রকোপ কাটিয়ে উঠেছে। ফের গ্রীষ্মের গোড়ায় পানীয় জল নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ ওঠায় পুরসভার ব্যর্থতাই প্রকাশিত হচ্ছে। এরপরেও পুরসভা বিষয়টি নিয়ে উদাসীন থাকলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন। তৃণমূল পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, “পুরসভার কর্মীরা নিরন্তর চেষ্টা করছেন পানীয় জলের পরিষেবা ঠিক রাখার জন্য।. কোথাও পাইপ ফেটে নোংরা জলে মিশছে বলে তাঁদের কাছে খবর নেই। সম্প্রতি জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। সে রকম কিছুই পাওয়া যায়নি।” তিনি জানান, ফের জলের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। |