বন্দুক দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ক্যানিংয়ের আমতলা গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে। অভিযুক্তকে স্থানীয় ধর্মতলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে এর আগেও ক্যানিং থানায় ডাকাতি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার প্রতিবাদে আমতলা বাজারের কাছে প্রায় আধঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখে স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতীর নাম মনিরুল সর্দার। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিগৃহীতা মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে এখন বসিরহাটে আছেন। সোমবার রাতে ওই মহিলা ঘরে ভাসুরের নাবালক ছেলে ও নিজের ছেলেকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। তখন মাটির বাড়ির বেড়ার দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে মণিরুল। প্রথমে ওই মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেয়। মহিলা রাজি না হওয়ায় সে মহিলার পাশে শোওয়া ভাসুরের ছেলের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গৃহবধূকে জোর করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নিগৃহীতার অভিযোগ, “ওই দুষ্কৃতী বন্দুক দেখিয়ে আমার ছেলে ও ভাসুরের ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রাণের ভয়ে কিছু বলতে পারিনি।”
নিগৃহীতা গৃহবধূর ভাসুরের নাবালক ছেলে জানিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতী প্রথমে ঘরে ঢুকে তার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে চুপ করে শুয়ে থাকতে বলেছিল। ধৃতকে জেরা করছে পুলিশ।
দক্ষিণ পশ্চিম পরগনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পশ্চিম) কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই বলেন, “ওই গৃহবধূ জানান, তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মণিরুল সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |