ব্যাঙ্কের সিন্দুক ভেঙে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। ব্যাঙ্ক ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে দুষ্কৃতীরা গেটের তালা ভেঙে দিকনগরের একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢোকে। লোহার রড দিয়ে সিন্দুকের গায়ের কংক্রীটের দেওয়াল ভাঙা হয়। তারপর সিন্দুক থেকে কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে পালায় ওই দুষ্কৃতীরা। এর আগেই ডাকাতেরা অবশ্য আলার্মের তার কেটে দেয়। তাই একরকম বিনা বাধাতেই অপারেশন চালায় ওই দুষ্কৃতীরা। |
ব্যাঙ্কের সিন্দুক ভেঙে চুরি।—নিজস্ব চিত্র। |
সোমবার সকালে ব্যাঙ্কের এক সাফাইকর্মীর নজরে আসে বিষয়টি। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরিন্দম দত্ত চৌধুরী ও ডিএসপি (সদর) দিব্যজ্যোতি দাস সহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। পুলিশ সুপার বলেন, “আলার্ম নিষ্ক্রিয় করে যেভাবে সিন্দুক ভাঙা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট এই ঘটনায় সঙ্গে পেশাদার দুষ্কৃতীরা যুক্ত। কিছু সূত্র মিলেছে। আশা করি দ্রুত ধরা পড়বে দুষ্কৃতীরা।” তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার জানান, সাধারণত সিন্দুকের পাশাপাশি বন্ধ আলমারিও ভাঙে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। এ থেকে পরিষ্কার দুষ্কৃতীদের কাছে আগাম খবর ছিল কেবল সিন্দুকেই রয়েছে টাকা। যেভাবে নিখুঁত কায়দায় আলার্ম নিষ্ক্রিয় করে সিন্দুক ভাঙা হয়েছে, তাতে পরিষ্কার যে ওই ব্যাঙ্ক সম্পর্কে খুঁটিনাটি সবটাই জানা ছিল ওই দুষ্কৃতীদের। আর তথ্য ব্যাঙ্কে যাতায়াত আছে এমন কোনও স্থানীয় লোকের কাছ থেকেই মিলেছে।
গত কয়েক মাসে ওই গ্রামীণ ব্যাঙ্কটির ৪টি শাখায় হানা দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। মূলত বাদকুল্লা ও শান্তিপুরে এই হানার ঘটনাগুলি ঘটে। তাই স্বভাবতই উদ্বিগ্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্কটির রিজিওনাল ম্যানেজার দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পর পর দুষ্কৃতী হানায় আমরা উদ্বিগ্ন। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা জোরদার করার আবেদন করছি। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকেও নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো করতে হবে।” |