|
|
|
|
সেচ বাঁধের রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
চারটি পাকা রাস্তা সংস্তার ও কিছু অংশ নতুন করে তৈরির কাজে হাত দিল সেচ দফতর। দফতরের কাঁথি বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার স্বপনকুমার পণ্ডিত বলেন, “ঠিকাদারদের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বর্ষার আগেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।”
রাস্তাগুলি প্রকৃতপক্ষে সেচ বাঁধ। কয়েকদশক আগে বাঁধগুলি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে এলাকায় জনবসতি বাড়লে বাঁধগুলিকে রাস্তা হিসাবে ব্যবহার শুরু হয়। এর মধ্যে ভগবানপুর ১ ব্লকের ভগবানপুর নতুন বাজার থেকে শিলাখালি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এর মধ্যে গোয়ালাপুকুর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা সাতের দশকে পাকা করেছিল পূর্ত দফতর। বাকি শিলাখালি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা বাঁধ হিসাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে সেচ দফতর। ওই অংশটিতে পাকা রাস্তা করার পাশাপাশি আগের ৭ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হবে। এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা।
পটাশপুর ১ ব্লকের টেপরপাড়া থেকে সিংলাই মোড় পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তা ২০০৫ সালে তৈরি হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায়। ২০০৮ সালের বন্যায় ওই রাস্তার প্রায় তিনশো মিটার অংশ ভেঙে গভীর খাত তৈরি হয়। বাকি রাস্তাও বেহাল হয়ে পড়ে। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া রাস্তা নতুন করে তৈরি ও বাকি অংশ সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। পটাশপুর ১ ব্লকেরই মংলামাড়ো বাজার থেকে আমগেছিয়ায় কেলেঘাই নদীর পাড় পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার ও কিছু অংশ নতুন করে পাকা করার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। বন্যার ফলে ওই রাস্তাটিও বেহাল হয়ে পড়েছিল। চণ্ডীপুর ব্লকের নরঘাট থেকে গোপীনাথপুর, চৌখালি হয়ে গোখুরি পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তাটি হলদি নদীর বাঁধ বরাবর। ওই রাস্তা সংস্কার ও একাংশ নতুন করে পাকা করার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা।
ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট প্রোজেক্টে এই কাজ শুরুর অপেক্ষায় এখন এলাকাবাসী। |
|
|
|
|
|