চালু হল না রামনগর সেতু |
সুব্রত গুহ • কাঁথি |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করার পরেও চালু হল না দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষিত রামনগর সেতু।
পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে ওঠার আগেই মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিনপুর থেকে ৪ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রামনগর সেতুর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেতুটির অ্যাপ্রোচ রোড ও আনুষঙ্গিক কিছু কাজকর্ম বাকি থাকায় এ দিন আর জনগণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া যায়নি।
রামনগরে দিঘা-কলকাতা সড়কের আগের সেতুটি সঙ্কীর্ণ হওয়ায় তীব্র যানজট হত নিত্য। নাকাল হতেন রামনগরের স্থানীয় বাসিন্দা থেকে দিঘাগামী পযর্টকরা। এই যানজট থেকে নিস্তার পেতে বিগত বাম সরকারের আমলে নতুন সেতু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৮ সালে তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী নতুন রামনগর সেতুর শিলান্যাস করেন। কিন্তু সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে সেখানকার দোকানদারেরা বাধা দেন। |
|
এখনও বাকি অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ। —নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করলে সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পালাবদলের পরে নতুন তৃণমূলের সরকার ক্ষমতায় এলে জমি-জট কাটাতে উদ্যোগী হয়। রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নিতাই চরন সার জানান, মামলাকারী ১০৪ জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে বারবার বৈঠক করে সেতুটির প্রয়োজনীয়তা ও পুনর্বাসনের বিষয়টি বোঝানো হয়। পরে ১০১ জন ব্যবসায়ী মামলা থেকে সরেআসেন। বাকি তিন জন হাইকোর্টে মামলায় হেরে যান। এরপরই দ্রুত গতিতে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী সেতুর উদ্বোধন করে দিলেও অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ কিছুটা এখনও বাকি রয়েছে। এ ছাড়া দু’একটি বিদ্যুতের খুঁটি ও একটি ট্রান্সফর্মার সরানোর জন্য সময় লাগছে বলে জানান রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাস। তাঁর আশা, দিন সাতেকের মধ্যেই সেতুটি জনগণের জন্য খুলে দেওয়া যাবে। |
|