|
|
|
|
কংক্রিটের সেতুর দাবি ভগবানপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
জীর্ণ কাঠের সেতুর বদলে কংক্রিটের সেতুর দাবি উঠল ভগবানপুর ১ ব্লকের বিভীষণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়মশানি গ্রামে। অভিযোগ, ব্লকের ভগবানপুর, বিভীষণপুর ও মহম্মদপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিউলিপুর-কাটগেছিয়া খালের উপর ওই সেতু প্রায় তিন বছর সংস্কার হয়নি। ফলে সেতুর কাঠের খুঁটি ভেঙে ঘটে চলেছে একের পর এক দুর্ঘটনা। এর জেরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রায় ৬০ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট চওড়া ওই সেতুটি বছর সাতেক আগে তৈরি করেছিল সেচ দফতর। ২০০৮ সালের বন্যার সময়ই সেতুটি নড়বড়ে হয়ে যায়। তখন নতুন সেতুর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষেরা। কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি হাইস্কুল, শিউলিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াত, এলাকার উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য পারাপারের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ওই সেতু। পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সিপিএমের মধুসূদন গুচ্ছাইত বলেন, “বাধ্য হয়ে এলাকার বাসিন্দারা ওই বিপজ্জনক সেতু দিয়ে পারাপার করেছেন। যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।” |
|
বেহাল সেই কাঠের সেতু। —নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, খালটিতে সারা বছর জল থাকায় পারাপারে ভরসা ওই সেতুই। তা জীর্ণ হওয়ায় যাত্রী বা পণ্য পরিবহণ দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ। ফলে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা সাইকেল। রোগীকে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতেও ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, অনেক দিন ধরে সেতু সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজ কিছুই হয়নি। ভগবানপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হারুন রশিদ বলেন, “সেতু তৈরির দায়িত্ব সেচ দফতরের। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে সেতুটি আপাতত সংস্কার করা যায়।” সেচ দফতরের কাঁথি বিভাগের এক্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার স্বপন পণ্ডিত অবশ্য বলেন, “হাড়মশানিতে কংক্রিটের নতুন সেতুর জন্য ৮১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে বর্ষার আগে কাজ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।” |
|
|
|
|
|