|
|
|
|
তিন বহিষ্কৃতকে দলের হয়ে কাজের অনুমতি তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বহিষ্কৃত তিন নেতাকে পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের হয়ে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এই সিদ্ধান্ত হয়েছে সোমবার। পরের দিন, মঙ্গলবারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিনপুরের সভায় প্রত্যাশিত ভিড় না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের বর্তমান সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রামের গৌরাঙ্গ প্রধান, গড়বেতার অসীম ওঝা এবং নারায়ণগড়ের কৌসর আলিএই তিন প্রাক্তন নেতাকে আপাতত দলের হয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হলেও, এখনই আনুষ্ঠানিক ভাবে দলে ফেরানো হবে না। সোমবার রাতে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে জেলার আলোচনার পরে দলীয় নেতাদের এই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।
মুকুলবাবু বলেন, “দলের জন্য যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সবাইকে নিয়েই দল পঞ্চায়েত ভোটে লড়বে।”
রাজ্যে পালাবদলের পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা স্তরের চার নেতাকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। অসীমবাবু, গৌরাঙ্গবাবু, কৌসর আলি এবং ডেবরার অলোক আচার্য। গৌরাঙ্গবাবু এবং অসীমবাবু দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কৌসর ছিলেন দলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা চেয়ারম্যান। তিনি, গৌরাঙ্গবাবু এবং এক সময় দলের ডেবরা ব্লক সভাপতি অলোকবাবু বহিষ্কৃত হন বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বিরোধের জেরে। অসীমবাবুর বিরুদ্ধে ছিল দলবিরোধী কাজের অভিযোগ।
তা হলে তাঁদের মধ্যে তিন জনকে ফেরানো হচ্ছে কেন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক তৃণমূল নেতার দাবি, “বহিষ্কার করলেও ওঁরা দলের বিরুদ্ধে কথা বলেননি। কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন অনুগামীদের নিয়ে। তিন জনেই ফিরতে আগ্রহ দেখান।” জেলা রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশ অবশ্য বলছেন, “নিজের এলাকায় ওই তিন জনেরই জনসমর্থন রয়েছে। তৃণমূল নেতারাও তা জানেন। পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা স্তরে দলের অবিসংবাদী কোনও নেতা নেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে স্থানীয় স্তরে তাই যাঁদের পিছনে জনসমর্থন আছে, তাঁদের কাজে লাগানো অযৌক্তিক নয়। ওই তিন জনের পঞ্চায়েত ভোটের পূর্ব অভিজ্ঞতাও আছে।”
তৃণমূল অন্দরের খবর, সোমবারের আলোচনায় অলোকবাবুর প্রসঙ্গও ওঠে। তবে ঠিক হয়, বিষয়টি নিয়ে ডেবরার এক নেতার সঙ্গে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হবে। বহিষ্কৃতেরা জানান, সোমবার রাতের আলোচনার খবর তাঁরাও পেয়েছেন। গৌরাঙ্গবাবুর কথায়, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক। দল যে ভাবে বলবে, সে ভাবেই চলব।” অসীমবাবু, কৌসর আলিরও একই কথা। কৌসর আলির সংযোজন, “এ বিষয়ে দলের জেলা নেতাদের সঙ্গে কথাও হয়েছে।” |
|
|
|
|
|