নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আই লিগ থেকে তিন বা চার বছরের জন্য অবনমন তুলে দেওয়ার যে দাবি কিছু ক্লাব তুলেছে তাতে সায় নেই ইস্টবেঙ্গলের।
জাতীয় কোচ উইম কোভারম্যান্স, টিডি রব বান এ দিন ক্লাস নিলেন ক্লাব কোচেদের। কর্তাদেরও। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাশ, ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত-সহ অন্য কর্তারাও। সিকিম ইউনাইটেডের হয়ে সভায় যোগ দেন ভাইচুং ভুটিয়াও।
গোয়াতে পুণে এফ সি, স্পোর্টিং ক্লুব-সহ কয়েকটি ক্লাব দাবি তুলেছিল অস্ট্রেলীয় লিগ এবং এম এল এস লিগে যেমন অবনমন নেই, এখানেও যেন সেটাই করা হয়। তা হলেই ফুটবলার তুলে আনার দিকে নজর দেওয়া যাবে। অর্থ খরচ করা যাবে। এ দিন মধ্য কলকাতার এক হোটেলে প্রয়াগ ইউনাইটেড-সহ কয়েকটি ক্লাব একই দাবি তোলে। প্রয়াগ কর্তা নবাব ভট্টাচার্য বলেন, “অস্ট্রেলীয় লিগে অবনমন তুলে দিয়ে কোনও ক্ষতি হয়নি। ওরা দু’বার বিশ্বকাপ খেলেছে।” বিরোধিতা করেন ইস্টবেঙ্গলের স্বপন বল। তিনি বলেন, “অবনমন তোলা উচিত নয়। বরং প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার তুলে আনার স্বার্থে কলকাতা লিগে বিদেশি খেলানো বন্ধ হোক।” আই লিগে এই মুহূর্তে অবনমনের আওতায় আছে মোহনবাগান। তাদের কোনও কর্তা অবশ্য সভায় ছিলেন না। কারণ আই লিগে দল তোলার শাস্তি হিসাবে সবুজ-মেরুন কর্তাদের ফেডারেশনের সভায় যোগ দেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে। ফেডারেশন সচিব কুশল দাস বললেন, “অবনমন তোলা হবে কি না তা ঠিক করবে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি ও আই লিগ কমিটি।”
কোভারম্যান্স ও রব বান মর্গ্যান-করিম-এলকোদের নিয়ে মূলত কীভাবে দেশ জুড়ে একই ঘরানার কোচিং প্রথা চালু করা যায় তা আলোচনা করেন। অ্যাকাডেমি, জুনিয়র ফুটবলার তুলে আনা ছাড়াও আই লিগের ফুটবলারদের মানোন্নয়ন ও ৪-৩-৩ ফর্মেশনে টিমকে খেলানোর জন্যও কোচেদের পরামর্শ দেন জাতীয় কোচ। পরে বলেন, “ভারত এত বড় দেশ। একই কোচিং প্রথা চালু করা কঠিন। তৃণমূল স্তর থেকে যুব ফুটবলারদের তুলে আনতে পারলেই এদেশে ফুটবলের উন্নতি সম্ভব।” ফেডারেশন সচিব এ দিন জানান, কোভারম্যান্সের দলকে ইউরোপে একটি সফরে পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। |