টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়ার পরেও মোহালিতে জিততে অসুবিধা হয়নি ধোনিদের। এই জয় প্রথম দু’টো টেস্টের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। টেস্ট ম্যাচে নামার সময় মাথায় থাকে যে ম্যাচটা পাঁচ দিনে জিততে হবে। অনেক টেস্ট চার দিনে শেষ হলেও সেটা ক্রিকেটের একটা অঙ্গ। হাতে মাত্র চারটে দিন পেয়ে তার মধ্যে টেস্ট জিতে ফেললে আলাদা একটা ভাললাগা তৈরি হয়।
ভারতের জয়ের মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছিল শিখর ধবন। ওই ইনিংস না এলে তৃতীয় দিনের মধ্যে তিনশো তোলা যেত না। জয়ের জন্য ঝাঁপানোর সুযোগও আসত না।
ভারত তাড়াতাড়ি অলআউট হয়ে ভালই হল। নইলে আরও বড় লিড নেওয়ার কথা ভাবত ধোনি। সেটা হলে দ্বিতীয় ইনিংসে বাঁচার জন্য খুব বেশি সময় লড়তে হত না অস্ট্রেলিয়াকে।
সাধারণত সফরকারী দল প্রথম টেস্টের পর থেকেই সামলে নেয় নিজেদের। ইংল্যান্ড সেটা করেছে। দুর্বল শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজও। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো হল। চেন্নাইয়ে হারার পর ওরা আরও গুটিয়ে গেল। আরও খারাপ খেলতে শুরু করল। দিল্লি টেস্টে নামার সময়ও অস্ট্রেলিয়াকে চিন্তায় রাখবে ব্যাটিং। যখনই দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনারদের টার্ন সামলাতে হচ্ছে ওদের, কাউকে দেখেই মনে হচ্ছে না স্পিন খেলতে জানে। সবাই চেষ্টা করছে ব্যাকফুটে গিয়ে স্পিন সামলানোর। যা ভারতের লো-বাউন্স ট্র্যাকে মারাত্মক।
অস্ট্রেলিয়া ভাগ্যবান যে তিনটে টেস্টেই প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে। উপমহাদেশের উইকেটে সফল হতে গেলে ভাল স্পিনার থাকার মতোই জরুরি স্পিন খেলার টেকনিক। যেটা এই অজি টিমের নেই। টিমে শৃঙ্খলা দরকার নিশ্চয়ই। কিন্তু মিকি আর্থারকে এটাও বুঝতে হবে যে ম্যাচ জেতার জন্য ভাল ক্রিকেটারও প্রয়োজন।
সিরিজটা তরুণ ভারতীয়দের জন্য খুব ভাল যাচ্ছে। মুরলী, ধবন, পূজারা, জাডেজা, ভুবনেশ্বর, অশ্বিন সবাই খুব ভাল খেলেছে। ভুবনেশ্বরের মানসিকতা আমার ভাল লেগেছে।
ও যদি নিজের পেস আরও বাড়াতে পারে তা হলে দারুণ টেস্ট বোলারে পরিণত হবে। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য যা দরকার। স্পিনাররা তো সব সময় কুড়িটা উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতাবে না। |