ভারতের বিরুদ্ধে ০-৩ সিরিজ হারের জেরে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধই করে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ মিকি আর্থার।
ব্রাউনওয়াশের ইঙ্গিত পেয়ে অস্ট্রেলীয় সমর্থকরা আর্থারকে যা নয় তাই বলা শুরু করেছেন। ‘মিকি মাউজ’ টিটকিরি থেকে পদত্যাগের পরামর্শ এবং গালিগালাজ, সবই জমা পড়ছে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে। চার ক্রিকেটারকে সাসপেন্ড করা নিয়ে কটাক্ষ তো আগে থেকেই শুনতে হচ্ছে। সেই জন্যই আর এই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে থাকলেন না অস্ট্রেলিয়ার কোচ।
ফিরোজশাহ কোটলায় শুক্রবার শুরু চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ব্রাউনওয়াশ বাঁচানোই একমাত্র লক্ষ্য। শেষ টেস্টে যে অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক অনিশ্চিত, মোহালিতেই জানা গিয়েছিল। মঙ্গলবার ফের দুঃসংবাদ অস্ট্রেলীয় শিবিরে। পেসার মিচেল স্টার্ককে ফিরে যেতে হচ্ছে গোড়ালির চোটের জন্য। যদিও দুটো ম্যাচে মাত্র দুটো উইকেট পেয়েছেন স্টার্ক। কিন্তু মোহালিতে ব্যাট হাতে ৯৯ রানের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। কোচ আর্থার অবশ্য বলছেন, এই চোট নিয়েও স্টার্ক দিল্লিতে খেলতে পারতেন। কিন্তু জুন মাসে অ্যাসেজের কথা ভেবেই তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করাতে পাঠানো হচ্ছে স্টার্ককে।
|
|
‘‘শাস্তির সিদ্ধান্ত হাঁড়িকাঠে গলা দেওয়ার মতো।’’ |
|
তবে এই ব্যাপারে খুব একটা চিন্তিত নন মিকি। তাঁর শেষ টুইটে মিকি লিখেছেন, “আমি বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য, খবরাখবর পাওয়ার জন্য অ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে এটার আর দরকার নেই।” বন্ধুদের অভিনন্দন বার্তা, কুশল সংবাদের বদলে যা সব আসছে মিকির টুইটারে, তা আর যাই হোক, সম্মানজনক নয়। এক জন লিখেছেন, “হেই মিকি মাউজ মিকি আর্থার। তুমি দিল্লিতে বরং চার জন স্পিনার খেলাও।” তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্তে এক জনের বক্তব্য, “ভাল হয়েছে, এ বার বরং আপনি ক্রিকেটে মন দিন।” তাঁকে পাঠানো আর এক টুইটে লেখা হয়েছে, “সত্যিটা সহ্য করার ক্ষমতা নেই আপনার।” এ ছাড়াও ‘বোকা’ থেকে শুরু করে বহু গালিগালাজও জমেছে তাঁর অ্যাকাউন্টে।
দলের চার ক্রিকেটারকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তেই তাঁর জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছিল। যে প্রসঙ্গে এ দিন সিডনির এক সংবাদপত্রে মুখ খুলেছেন আর্থার। বলেছেন, “জানি, এ রকম একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া মানে হাঁড়িকাঠে গলা দেওয়া। কিন্তু এই দলটাকে ভালবাসি বলেই পিছপা হইনি। মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করে যাওয়ার লোক আমি নই। দল চালানো আমার দায়িত্ব। তা করতে গিয়ে যা পদক্ষেপ করা দরকার, করতেই হবে।” |