গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে রাজ্যের প্রধান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছনোয় দার্জিলিং পাহাড়ে উন্নয়নের কাজকর্ম থমকে যাবে কি না তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। পাহাড়ে মোতায়েন হয়েছে সিআরপি। এসবের মধ্যেই কালিম্পং পুরসভা নিজস্ব এলাকার দীর্ঘদিনের জঞ্জাল জনিত সমস্যা দূর করতে আসরে নেমেছে। শহর থেকে জঞ্জাল অপসারণ করে পরিবেশ বান্ধব ও এবং দূষণ মুক্ত করার কাজ শুরুও করেছে কালিম্পং পুরসভা। জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির কাজও আরম্ভ হয়েছে।
কালিম্পং পুরসভার চেয়ারম্যান এল বি পারিয়ার বলেছেন, “আপাতত জঞ্জাল অপসারণ করা দিয়ে শহরের পরিষেবার মান বাড়ানোর কাজ শুরু করলাম। ধীরে ধীরে রাস্তা মেরামতি ও শহরে সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হবে।” পাশাপাশি, জল সমস্যা নিয়ে নিজেদের অসহায়তার কথা স্বীকার করেন তিনি। জলের জোগান নিয়ে তাঁদের আপাতত যে কিছুই করার নেই তা কবুল করলেন পুর চেয়ারম্যান। যদিও পানীয় জল, জঞ্জাল সাফাইয়ের দায়িত্ব পুরসভার। এ কথা জানিয়েছেন কালিম্পঙের মহকুমা শাসক এল এন শেরপা। ওই সব কাজ আগে করা উচিত ছিল বলে মনে করছেন তিনি। পুরসভা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, টাকার অভাবে জমিটি আগে নেওয়া যায়নি। কালিম্পঙের বিধায়ক হরকাবাহাদুর ছেত্রী কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে কিছুই জানি না। দার্জিলিঙে রয়েছি। ফিরে গিয়ে খোঁজ নেব।”
কালিম্পং থেকে পাঁচ কিমি দূরে নিম্ন দলমানগাঁওয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য সাড়ে ৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে কালিম্পং পুরসভা। এর জন্য ১৮ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়েছে। মাত্র দু’দিন আগেই তারা জমি অধিগ্রহণ করেছে। তার মধ্যেই অনেকটা কাজ করে ফেলেছেন। যে হেতু এলাকায় ঢাল রয়েছে। তাই এক জায়গায় বেশি জঞ্জাল জমা করা সম্ভব নয়। তাই পাহাড়ের ঢাল খুঁড়ে তাতে ‘বিন’ তৈরি করা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে ডাম্পিং গ্রাউন্ড চালু হয়ে যাবে।
আপাতত চারটি গাড়ি পুরসভার হয়ে জঞ্জাল তুলে নিয়ে আসে। শহরের মেলা গ্রাউন্ডের সামনে একটি অস্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করে কাজ চলছে। সেখান থেকে ময়লা সংগ্রহ করে ঢাল থেকে তিস্তার জলে ফেলে দেওয়া হয় সমস্ত আবর্জনা। তিস্তাবাজারের কাছে এনএইচপিসি’র কাজ চলছে। সেখানে তিস্তা ধীর গতিতে চলায় আবর্জনা আটকে যায়। তাই এই অব্যবস্থা দ্রুত বন্ধ করার দাবি উঠছিল নানা এনজিও, এনএইচপিসির পক্ষ থেকে। |