বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়ে গেলেও যানজটে জেরবার ডোমজুড় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমজুড় |
তীব্র যানজটে নাকাল ডোমজুড় বাজারে যানজট কমানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে নতুন বাসস্ট্যান্ড। তার পর কেটে গিয়েছে সাত মাস। কিন্তু যানজট সমস্যা মেটেনি। সকাল কিংবা সন্ধ্যা, যখনই ডোমজুড় বাজারে যাওয়া যাক, দেখা যাবে তীব্র যানজটে হাঁসফাঁস করছে গোটা বাজার এলাকা।
অথচ এই যানজট মুক্তির জন্যই ডোমজুড় বাজারে বাস, ট্রেকার, অটো ট্যাক্সির স্ট্যান্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাওড়া জেলা পরিষদ। প্রথম পর্যায়ে বাসস্ট্যান্ডের তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ট্রেকার, অটো, ট্যাক্সির স্ট্যান্ড তৈরির কাজ।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে হাওড়া জেলা পরিষদ ১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৯ হাজার বর্গফুটের জমি কিনেছিল। এর ভিতর ৮ হাজার বর্গফুট এলাকায় বাসস্ট্যান্ডের কাজ সম্পূর্ণ। বাসস্ট্যান্ডটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে গত বছরের ৮ অগস্ট। বাকি ১১ হাজার বর্গফুট জমিতে চলছে ট্রেকার, অটো, ট্যাক্সির স্ট্যান্ড তৈরির কাজ। বাসস্ট্যান্ডের জমিতেই তৈরি করা হয়েছে দোকানঘর। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই দোকানঘরগুলি খুলে দেওয়া হবে। |
অটো-ট্যাক্সির স্ট্যান্ড তৈরি হচ্ছে। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। |
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ট্রেকার, অটো, ট্যাক্সির স্ট্যান্ড তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে। এর জন্য খরচ হবে ১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। আশা করছি, তাড়াতাড়িই কাজ শেষ হবে।” ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বাপি ঠাকুর চক্রবর্তী বলেন, “স্থানীয় মানুষের আন্দোলনের ফল এই বাসস্ট্যান্ড।” তবে নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরির পরেও কী সত্যিই যানজটমুক্ত হয়েছে ডোমজুড়?
স্থানীয় বাসিন্দা নিমাই চন্দ বলেন, “আমি কলকাতায় চাকরি করি। যানজটের কবলে প্রায়ই অফিসে দেরি হয়ে যায়। রাস্তা জুড়ে রয়েছে হকার।” স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী কাশীনাথ পাড়ুইও জানালেন একই সমস্যার কথা। তৃণমূল নেতা সুবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু যানজট মুক্তি ঘটেনি।” একই মত এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, বেশ কিছু ছোট গাড়ি রাস্তার পাশে বেআইনি ভাবে রাখা থাকে। যেটুকু রাস্তা রয়েছে তার অর্ধেক আবার হকারদের দখলে।
ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুবীর সাহার কথায়, “রাস্তার পাশে থাকা হকারদের তোলা গেলে যানজট কিছুটা কমবে। আগের তুলনায় দোকান, গাড়ি, জনসংখ্যা সবই তো বাড়ছে। কিন্তু রাস্তা বাড়ছে না।” হকার সরানোর বিষয়ে একমত ডোমজুড়ের বিডিও সুদীপ্ত ভক্ত। তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে ডোমজুড় থানার আইসির সঙ্গে আলোচনায় বসব।”
আইসি মধূসূদন মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তার পাশে হকার বসা সমস্যা বটেই। বাসস্ট্যান্ডে বাস ঢোকা ও বেরোনোর সময়েও সমস্যা হয়। অনেকেই রাস্তার উপরে বাইক রেখে চলে যান। থানার পক্ষ থেকে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমরা এই সমস্যা থেকে বেরোনোর চেষ্টা করছি।’’ |