সেতু থেকে নদীতে বাস, মৃত ৩৭ |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
গোয়া থেকে মুম্বই আসার পথে সেতু থেকে নদীতে পড়ে গেল একটি বাস। রত্নগিরি জেলার খেড়ের কাছে এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক বিদেশি-সহ ৩৭ জন। মুম্বই-গোয়া সড়কে সম্প্রতি এত বড় দুর্ঘটনা হয়নি বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ব্যস্ত এই সড়ক চওড়া করার কাজে দেরি নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠেছে লোকসভাতেও।
সোমবার গভীর রাতে গোয়া থেকে মুম্বই আসছিল একটি লাক্সারি বাস। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েক জন বিদেশিও। খেড়ে জাগবুড়ি নদীর উপরে ভরনা সেতুতে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি নদীতে পড়ে যায়। প্রচণ্ড শব্দ ও চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশ-প্রশাসনকে খবর দেন।
এক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়। গ্যাস কাটার দিয়ে বাস কেটে উদ্ধার করা হয় যাত্রীদের। তার আগেই অবশ্য প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। তাঁদের মধ্যে এক জন রুশ পর্যটক। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। |
|
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস। ছবি: এএফপি। |
বাসটির চালক গুরুতর আহত। তিনি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন কি না জানতে চালককে পরীক্ষা করবেন চিকিৎসকরা।
একটি পর্যটন সংস্থার মাধ্যমে বাসটিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন যাত্রীরা। সেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে যাত্রীদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় কিছু যাত্রীর দেহ বিকৃত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের চেনা মুশকিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সড়ক চওড়া করার কাজ যে সময় মতো হয়নি তা মানছেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ভাস্কর যাদব।
লোকসভায় আজ এই দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ তোলেন গোয়ার কংগ্রেস সাংসদ ফ্রান্সিসকো সারডিনহা। তাঁর বক্তব্য, “এই সড়ক দিয়ে বহু বিদেশি পর্যটক যাতায়াত করেন। তাই সেতুগুলি চওড়া করার কাজ এখনই শুরু করা উচিত।” এ নিয়ে ভূতল পরিবহণ মন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন তিনি। শিবসেনা সাংসদ অনন্ত গীতের দাবি, সড়ক ও সেতু চওড়া করার প্রস্তাব ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কাছে এক বছর আগে পাঠানো হয়েছে। তার পর আর কাজ এগোয়নি। |
|