|
|
|
|
ভোট বিপর্যয়ে কোঁদল তুঙ্গে, কংগ্রেস ভেঙে পৃথক মঞ্চ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
দলীয় কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমেই ত্রিপুরায় কংগ্রেস দল ভেঙে তৈরি হল নতুন ‘বাম-বিরোধী’ রাজনৈতিক প্রতিবাদী মঞ্চ-‘ত্রিপুরা প্রগতিশীল গ্রামীণ কংগ্রেস’। রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক এবং প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে এই মঞ্চ। সুবলবাবুর আশা, এই মঞ্চ থেকেই ধীরে ধীরে তৈরি হবে পূর্ণাঙ্গ একটি রাজনৈতিক দল। জাতীয় কংগ্রেসের রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী থেকেই আগামী দিনে লোকসভা, বিধানসভা, টিটিএএডিসি, পঞ্চায়েত, পুরসভা, নগর পঞ্চায়েত ভোটে এই প্রতিবাদী রাজনৈতিক মঞ্চ কংগ্রেসের সমান্তরালভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে, তারই ইঙ্গিত মিলেছে আজকের কর্মী সম্মেলনে।
পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য কংগ্রেস ভেঙে বেরিয়ে এসে মমতা বন্দো্যপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে ‘তৃণমূল কংগ্রেস’ দল তৈরি হয়েছিল, অনেকটা সে ভাবেই ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে, কংগ্রেসের রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে দলের প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক তৈরি করলেন এই রাজনৈতিক মঞ্চ।
ত্রিপুরা প্রগতিশীল গ্রামীণ কংগ্রেসের নেতা সুবল ভৌমিকের কথায়, ‘‘ত্রিপুরায় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি রাজ্যের কংগ্রেস সমর্থক, কর্মীদের আর কোনও আস্থা নেই। ভোটে চূড়ান্ত বিপর্যয়ের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা, যাঁরা রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াবে এই মঞ্চ। রাজ্যে বাম-বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’’ সুবলবাবুর কর্মী সম্মেলনে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
দক্ষিণের সাব্রুম থেকে উত্তরের ধর্মনগর, রাজ্যের সমস্ত প্রান্ত থেকে দলীয় কর্মীদের একাংশ এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেসের গোষ্ঠী রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে এসে সমস্ত কংগ্রেসী মনোভাবাপন্ন, ‘বাম-বিরোধী’ সমর্থক এবং কর্মীদের এই মঞ্চ ব্যবহার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে এই মঞ্চের কোনও যোগাযোগ থাকবে না, সেটাও সুবলবাবু পরিষ্কার করে দেন।
কর্মী সম্মেলনে এক বক্তার কথায়, ‘‘রাজ্যে সিপিএম বিরোধী তথা, বাম-বিরোধী শক্তিগুলিকে নতুন ‘দিশা’ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই কর্মী সম্মেলন।’’ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি ‘সম্পূর্ণ অনাস্থা’ জানিয়েছে মঞ্চের নেতারা। কর্মী সম্মলনে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীরা বার বার ক্ষোভ উগরে দেন। কংগ্রেস দল ভেঙে নতুন করে বাম-বিরোধী মঞ্চ তৈরির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুবলবাবু বলেন, ‘‘প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের ‘ব্যক্তিগত আনুগত্যের সংস্কৃতি’ দূরে সরিয়ে রেখে ‘গ্রামীণ কংগ্রেস’-এর কর্মীরা সমস্ত বাম-বিরোধী মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে এককাট্টা করবে।’’ তবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করে বিষয়টিকে বাড়তি কোনও গুরুত্ব দিতে অস্বীকার করেন। |
|
|
|
|
|