আবার ছাত্র-বিক্ষোভে অচল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বার আর পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবি নয়। কাজ পাইয়ে দেওয়ার দাবি।
ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে চাকরি না-পাওয়া এক দল পড়ুয়ার লাগাতার ঘেরাও-বিক্ষোভের জেরে টেকনো ইন্ডিয়া সংস্থা তাদের সল্টলেক ক্যাম্পাস অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীরা ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দিচ্ছেন না। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। এই অবস্থায় কলেজ বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় নেই।
আর বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে চাকরির আশাতেই তাঁরা ওই কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু এখন কলেজ-কর্তৃপক্ষ তাঁদের চাকরির ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্যোগী হচ্ছেন না। |
বিক্ষোভ। সল্টলেকের টেকনো ইন্ডিয়া ক্যাম্পাসে।—নিজস্ব চিত্র |
পড়ুয়াদের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কলেজের অধ্যক্ষ সুশান্তকুমার ভট্টাচার্য বলেন, “প্রতি বছরই ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে এই কলেজের ৭০-৮০ শতাংশ পড়ুয়া চাকরি পান। কিন্তু এ বার কাজের বাজারে মন্দা। তাই ৫০ শতাংশের মতো ছাত্রছাত্রী চাকরি পাননি। তবে আরও তিন দিন ক্যাম্পাসিং হওয়ার কথা।” অন্যান্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এ বছর ক্যাম্পাসিংয়ের হাল ভাল নয়। এই অবস্থায় বিক্ষোভকারীরা বলছেন, চাকরির বন্দোবস্ত না-হলে আন্দোলন চলবে।
চাকরির দাবিতে চতুর্থ বর্ষের ওই পড়ুয়ারা গত ২৭ ফেব্রয়ারি কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের সারা দিন ঘেরাও করে রাখেন বলে অভিযোগ। তার জেরে ৫ মার্চ পর্যন্ত কলেজে পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। ১৮ মার্চ সংস্থার চেয়ারম্যান গৌতম রায়চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনাতেও সমাধান না-হওয়ায় ঘেরাও চলে রাতভর। মঙ্গলবারেও চলে ঘেরাও। তার জেরে এ দিন কলেজ বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। |