টুকরো খবর
লেক মার্কেটে হকার সরাতে উদ্যোগ
লেক মার্কেটের প্রবেশপথ জুড়ে থাকা হকারদের সরার আবেদন জানাবে পুরসভা। এখনই জোর করে তাঁদের সরানোর ঝুঁকি নিতে চান না পুর-কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার এক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই হকারদের যে পুনর্বাসন দেওয়া হবে না, তা-ও জানিয়ে দেন পুর-কর্তৃপক্ষ। নব কলেবরে গড়ে ওঠা ওই মল জনা পঞ্চাশেক হকারের কারণে চালু করা যাচ্ছে না বলে পুরসভা সূত্রের খবর। ওই মল দ্রুত খোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নির্দেশ দেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে। পুরসভার এক পদস্থ অফিসার মঙ্গলবার বলেন, “লেক মার্কেটে ঢোকার মুখে যে সব হকার বসে আছেন, লিফলেটের মাধ্যমে ওই জায়গা ছাড়ার জন্য তাঁদের আবেদন জানানো হবে। আগামী ২১ মার্চ তা বিলি করা হবে ওই এলাকায়।” পুর-কমিশনারের ডাকা ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন পুরসভায় বাজার ও লাইসেন্স বিভাগের পদস্থ অফিসারেরা। পুরসভা সূত্রের খবর, এক বছর আগে তৈরি হলেও পথ আগলে থাকা হকারদের কারণে ওই মার্কেট খুলতে পারেননি পুর-কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। এর পরেই পুরো বিষয়টি দেখার জন্য পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেন মমতা। মেয়রকে ডেকে মহাকরণে বৈঠকও করেন সুব্রতবাবু। মহাকরণ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী চান আগামী নববর্ষের মধ্যেই খুলে যাক ওই মার্কেট। সেই নির্দেশ অনুসারে জোরকদমে নেমেছে পুরসভা। তবে লিফলেটের আবেদনে সাড়া না মিললে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা-ও ঠিক করে ফেলেছেন পুরকর্তারা। এ দিন পুরসভায় বাজেট নিয়ে বিতর্ক চলে। বিতর্কের শুরুতে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, “ত্রিফলা নিয়ে যাঁরা চেঁচাচ্ছেন, তাদের আমলে বড় বড় দুর্নীতি হয়েছে।” সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তুমুল হইচই। প্রতিবাদে সরব হন বাম-সদস্যেরা।

কেআইটি-র আইন বদল
শহরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ‘কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট’ (কেআইটি) যাতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে, তার জন্য মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি সংশোধনী বিল পাশ হয়। ১০২ বছরের পুরনো এই আইনটি বর্তমানে মোটেই কার্যকর নয় বলেই কেআইটি-র কর্তারা জানাচ্ছেন। এক কর্তা জানান, পুরনো ওই আইনে এক জন অ্যাকাউট্যান্টের হাতে ১০০ টাকা খরচের অধিকার আছে। এক জন ইঞ্জিনিয়ার সর্বাধিক ৩০০ টাকা নিজ দায়িত্বে খরচ করতে পারেন। যা আজকের দিনে একবারেই অচল। তাই সংশোধনীর মাধ্যমে কেআইটি-র সর্বস্তরেই পরিচালন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ দিন বিধানসভায় পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও জানান, রাজ্য সরকার কেআইটি-কে মর্যাদা দিতে চাইছে। সংস্থাটির মানবসম্পদের সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি তারা যাতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে, তাই এই সংশোধনী আনা হয়েছে। যদিও বিরোধী দলের অনেক বিধায়কই বিলের কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।

কারখানায় আগুন
ফের শহরে আগুন। এ বার তপসিয়ার চপ্পল কারখানায়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সারাইয়ের জন্য তিন দিন ধরে বন্ধ ছিল কারখানাটি। এ দিন কারখানার জানলা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্থানীয়েরাই দমকলে খবর দেন। তবে কেউ হতাহত হননি।

বাসে ‘অশালীনতা’, গ্রেফতার
বাসের মহিলা সহযাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার, বিবাদী বাগ থেকে। ধৃত তুষারকান্তি পালের বাড়ি হিন্দমোটরে। তাকে জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত। পুলিশ জানায়, সকাল ৯টা নাগাদ যাদবপুর-বিবাদী বাগ মিনিবাসে ওঠেন অভিযোগকারিণী। সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী। পুলিশকে ওই মহিলা জানান, তুষার তাঁকে অশালীন কথা বলেন। আপত্তি করেও লাভ হয়নি। মিনিবাসটি বিবাদী বাগ পৌঁছলে কর্তব্যরত পুলিশকে তিনি বিষয়টি জানান। অভিযুক্তকে ধরা হয়।

উকিলের সামনেই জেরা মুন্নাকে
আদালতের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার আইনজীবীর সামনেই গার্ডেনরিচ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাকে জেরা করল সিআইডি। আইনজীবীর সামনেই জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। অভিযোগ, অভিযুক্তের উকিল অরিন্দম দাস শনিবার ভবানী ভবনে গেলে তাঁকে পাশের ঘরে বসিয়ে রেখে মুন্নাকে জেরা করা হয়। সোমবার ফের আদালতের দ্বারস্থ হন ওই আইনজীবী। আদালত আবার একই নির্দেশ দেয়। বিকেলে অরিন্দমবাবুকে ভবানী ভবনে ডেকে তাঁর সামনেই এক ঘণ্টা ধরে মুন্নাকে জেরা করেন গোয়েন্দারা।

ব্যবসায়ী অপহরণে ধৃত যুবক
ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মহম্মদ আলি। শোয়েব আলি মোল্লা নামে রাজাবাগান থানা এলাকার নাদিয়াল ভিলেজ রোডের এক পোশাক ব্যবসায়ী শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ। ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শুক্রবার গভীর রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তি শোয়েবকে ফোন করে বাড়ির বাইরে ডাকে। তার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। তাঁর মোবাইল ফোন দু’টিও বন্ধ। ওই পোশাক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ভিক্ষুক সেজে হাতুড়ি মেরে লুঠ
রোজ ভিক্ষে চাইতে ফ্ল্যাটের দরজায় আসত লোকটি। ক্যামাক স্ট্রিটের একটি বহুতলের বৃদ্ধা বাসিন্দা শকুন্তলা লাডলি ভিক্ষে দিলেই চলে যেত সে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরেও এসেছিল ভিক্ষুকটি। কিন্তু শকুন্তলাদেবী ভিক্ষে দেওয়ার আগেই লোকটি তাঁর মাথায় হাতুড়ি মারে। বৃদ্ধা লুটিয়ে পড়তেই তাঁর গলা, কান ও হাতের সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় সে। বৃদ্ধাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। লুঠ ও হত্যার চেষ্টার মামলা করেছে পুলিশ। ব্যবসায়ী ছেলেকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকেন বৃদ্ধা। এ দিন ছেলে কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরে এই ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে পুলিশ। কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

খাদিম মামলায় উর্দু দোভাষী
খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত এক পাক নাগরিকের জন্য উর্দু দোভাষীর ব্যবস্থা হয়েছে। মঙ্গলবার আলিপুর জেলে দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক কাজী সফিদুল রহমানের বিশেষ আদালতে হাজির হন তিনি। অভিযুক্ত পাক নাগরিক ইশাক আহমেদের আইনজীবী প্রশান্ত মজুমদার জানান, তাঁর মক্কেল উর্দুভাষী। তাই সওয়াল-জবাবের কিছুই বুঝতে পারছেন না। তাই উর্দু দোভাষী রাখার আর্জি জানানো হয়। সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ তাতে আপত্তি জানাননি।

গ্যাস-কাণ্ডে ধৃত ১
চিৎপুরে সম্প্রতি সিলিন্ডার থেকে ক্লোরিন লিক হয়ে কয়েক জনের অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় এক জন গ্রেফতার হল। ধৃত মদন সিংহ রাঠৌরের বাড়ি পাইকপাড়ায়। মঙ্গলবার চিৎপুরের কালিপ্রসন্ন সিংহ রোড থেকে তাঁকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার ওই রাস্তাতেই একটি পরিবহণ সংস্থার অফিসের সামনে গ্যাস লিকের ঘটনাটি ঘটে। ধৃত ব্যক্তি সেই সংস্থারই ম্যানেজার।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
কলকাতা বিমানবন্দর এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সঞ্জীব পাল (৬০)। মঙ্গলবার সাইকেল চালিয়ে বিমানবন্দর এলাকার ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই গাড়িটি তাঁকে ধাক্কা মারে।

নালায় দেহ
চেতলা লক গেটের কাছে মঙ্গলবার সকালে টালি নালায় অজ্ঞাতপরিচয় এক প্রৌঢ়ের দেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.