হিমঘরে কাজের দাবি নিয়ে সিপিএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষে জখম হলেন দু’পক্ষের ছ’জন। মঙ্গলবার কাঁকসার দোমড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ কয়েকজনকে আটকও করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোমড়া এলাকায় সম্প্রতি একটি হিমঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। শুরু থেকেই নির্মাণ কাজে স্থানীয়দের নিয়োগের দাবি তুলেছিল তৃণমূল ও সিপিএম-দুই পক্ষই। মঙ্গলবার এরাই আবার একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে, ঠিকা কর্মী হিসাবে একতরফা নিজেদের লোক ঢোকানোর। সকাল থেকেই অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে উত্তেজনা ছিল এলাকায়। বেলা বাড়লে তা চরমে ওঠে। উভয় পক্ষই লাঠি, রড নিয়ে চড়াও হয়। মারামারিতে জখম হন দুই পক্ষের তিনজন করে মোট ছ’জন। আহতদের কাঁকসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হলেও দশরথ মাড্ডি নামে এক তৃণমূল কর্মীকে মাথায় ও পাঁজরে চোট লাগা অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। |
এ দিনের ঘটনায় দু’পক্ষই দায়ী করেছে পরস্পরকে। তৃণমূলের দাবি, পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম। ফলে প্রভাব খাটিয়ে এলাকার সিপিএম নেতা তাপস দাসের নেতৃত্বে সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা একতরফা দলীয় সমর্থকদের ঠিকা কর্মী হিসাবে নিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। তৃণমূল তার বিরোধীতা করতেই শুরু হয় বিপত্তি। দলের কাঁকসা ব্লক যুব সভাপতি পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তাপস দাসের নেতৃত্বে দলবদ্ধ ভাবে সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা আমাদের দলীয় সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় বাধা দেওয়া হলে রড-লাঠি দিয়ে হামলা চালায় ওরা।” তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এলাকা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছে সিপিএম। অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। দলের কাঁকসার প্রাক্তন জোনাল সম্পাদক তথা জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বীরেশ্বর মণ্ডলের দাবি, এলাকার অধিকাংশ মানুষ তাঁদের পক্ষে। তিনি বলেন, “কাঁকসায় পায়ের তলায় মাটি নেই তৃণমূলের। তাই মানুষের কাজের দাবিকে নস্যাৎ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে মানুষকে কব্জা করতে চাইছে ওরা।” |