টুকরো খবর
বেতন দিতে রাজ্যের ফের ধার ১৫০০ কোটি
রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৩০ শতাংশ। তবু বছর শেষে বেতন দিতে আরও ১৫০০ কোটি টাকা ধার নিতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। আজ মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বন্ড নিলাম করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে এই ঋণ নেওয়া হবে। চলতি আর্থিক বছরের গোড়ায় বাজার থেকে রাজ্যের ঋণ নেওয়ার সর্বোচ্চসীমা ২১ হাজার কোটি টাকায় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আর্থিক স্বাস্থ্য ভাল হওয়ার দাবি করা সত্ত্বেও সেই ঋণের সবটুকুই নিয়ে নিল রাজ্য। এ মাসের প্রথম সপ্তাহেই দৈনন্দিন খরচ চালাতে ১২০০ কোটি টাকা ধার করেছিল তারা। তখন মনে করা হয়েছিল, আয় যে ভাবে বেড়েছে তাতে আর্থিক বছরের শেষে আর ঋণ নিতে হবে না। কিন্তু কর্মীদের বেতনের বিল তৈরি শুরু হতেই অর্থ দফতর বুঝে যায়, ঋণ না-নিলে বেতন মেটানো যাবে না। ফলে আরও ১৫০০ কোটি টাকা ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, রাজস্ব আদায় ৩০ শতাংশ বেড়ে ৩১ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়ে ফেললেও লাভ কী হল? কর্মীদের বেতন দিতে গিতে তো প্রতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই বাজার থেকে ধার করতে হয়েছে রাজ্যকে। অর্থ দফতরের কর্তারা বলছেন, আয় বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খরচও। খরচের বহর আয়ের থেকে বেশি। ফলে রাজ্য চালাতে ধারই ভরসা।

ভাতা: আবেগের সিদ্ধান্ত চায় না কোর্ট
ব্যক্তিগত আবেগ বা ভাল লাগার ভিত্তিতে কোনও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। সাংবিধানিক ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সোমবার রাজ্য সরকারের দেওয়া ইমাম ভাতা নিয়ে জনস্বার্থের মামলার শুনানির সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় এই মন্তব্য করেন। ইমাম ভাতাকে কেন্দ্র করে চারটি জনস্বার্থের মামলা হয়েছে। এক আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, সরকারের হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, তাদের বক্তব্যের মধ্যেই দ্বিচারিতা রয়েছে। সাচার কমিশনের রিপোর্ট আর কিছু সংবাদপত্রের রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কাজকর্ম যাঁরা করেন, তাঁদের আর্থিক দুরবস্থার কথা ভেবেই সরকারের এই অবস্থান। বিকাশবাবুর প্রশ্ন, তা হলে ওই সম্প্রদায়ের অন্য গরিবদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা হবে না কেন? দারিদ্র যদি ইমামদের ভাতা পাওয়ার কারণ হয়, তা হলে অন্য গরিব মানুষেরা কেন বঞ্চিত হবেন? এই বৈষম্যের কারণ কী? সংবিধান গরিবদের মধ্যে এমন ভাগাভাগি সমর্থন করে না। মামলাটির শুনানি চলবে।

উচ্চশিক্ষায় নতুন উপদেষ্টা কমিটি
ক্ষমতায় এসে উচ্চশিক্ষা উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। গত বছর মার্চে রিপোর্ট দেওয়ার পরে সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। সোমবার নতুন এক উচ্চশিক্ষা উপদেষ্টা কমিটি গড়ল রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর। এ বারও চেয়ারম্যান হয়েছেন অভিরূপ সরকার। সতেরো জনের এই নতুন কমিটিতে এলেন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিতাভ রায়চৌধুরী, বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য রজতকান্ত রায়, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুভশঙ্কর সরকার প্রমুখ। নতুন কমিটিতে নেই তৃণমূলের সাংসদ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অরুণ চট্টোপাধ্যায়-সহ ৭ জন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.