কেঁচো সারের ব্যবহার নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হল। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের পরিচালনায় ও ডিসস্ট্যান্স এডুকেশান কাউন্সিলের আর্থিক সহায়তায় এই প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন হয়েছে সোমবার। উদ্বোধন করেন উপার্চায রঞ্জন চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক রণজিৎ ধর, বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ডিন সুশান্ত চক্রবর্তী, অধ্যাপক বিকাশ পতি। উদ্যোক্তাদের পক্ষে অধ্যাপিকা প্রিয়াঙ্কা হালদার ও বর্ণা চক্রবর্তী জানান, এই প্রশিক্ষণ শিবিরে ছাত্রছাত্রীরা ছাড়াও যোগ দিয়েছে কৃষকরো। কী ভাবে মাছ চাষ, উদ্যানপালন ও রেশম চাষে কেঁচো সার কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে চলছে প্রশিক্ষণ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ও জেলার নানা খামারে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
|
নদীপথে সুন্দরবনের জঙ্গল এলাকায় নজরদারি চালানোর সময়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হলেন দুই বনকর্মী। সোমবার বাগনা রেঞ্জের কাটুয়াঝরি জঙ্গলের কাছে কাটুয়াঝরি নদীতে ওই ঘটনায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরাই জড়িত বলে বন দফতরের অনুমান। গোপীনাথ রায় এবং সঞ্জয় শীল নামে জখম দুই বনকর্মী এখন চিকিৎসাধীন। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর প্রশান্তকুমার পণ্ডিত বলেন, “মনে হচ্ছে, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা হামলা করেছে। তদন্ত চলছে।” বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মী গোপীনাথবাবু এবং সঞ্জয়বাবু আরও দু’তিন জনের সঙ্গে এ দিন ভুটভুটিতে চড়ে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। সেখানে অন্য একটি ভুটভুটিতে ১০-১২ জনকে দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। বনকর্মীরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই ধেয়ে আসে গুলি। গোপীনাথবাবুর ডান পায়ে এবং সঞ্জয়বাবুর বাঁ পায়ে গুলি লাগে।
|
হাতির পায়ে পিষ্ট হল মা ও শিশু। শনিবার রাতে শোণিতপুর জেলার বিশ্বনাথ চারিয়ালিতে। পুলিশ জানায়, প্রায় ৫০টি হাতির একটি দল গত কয়েকদিন ধরে অরুণাচল-অসম সীমান্তে ঘুরছে। গত রাতে তারা পাহাড়পুরে চলে আসে। হাতির পাল বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দিয়ে পার্শ্ববর্তী পাভোই রেঞ্জের জঙ্গলে চলে যায়। সকালে ভাঙা বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে মনমতি ওয়ারি (২০) ও তার ৯ মাসের শিশুসন্তানের দেহ উদ্ধার করা হয়।
|
ফের গ্রামবাসীদের হাতে প্রাণ দিল একটি চিতাবাঘ। এই নিয়ে বছরের অষ্টম চিতাবাঘ জনরোষের শিকার হল। ঘটনাটি ঘটেছে গত কাল বিকেলে। পুলিশ জানায়, তিনসুকিয়া জেলার ডুমডুমা অরণ্য ডিভিশনের শইখোয়া রেঞ্জ থেকে চিতাবাঘটি বের হয়ে এসেছিল। জনবসতিতে ঢুকে পড়ে পথভ্রষ্ট চিতাবাঘটি বরসেংগেলি গ্রামে চলে আসে। চিতাবাঘকে গ্রামে ঘুরতে দেখে গ্রামবাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপরে চড়াও হয়। কেবল চিতাবাঘটি হত্যা করেই তারা শান্ত হয়নি। চিতাবাঘের লেজ, নখ, দাঁতও কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। চলতি মাসে উজানি অসমেই গণপ্রহারে তিনটি চিতাবাঘের মৃত্যু হল।
|
সকাল থেকে চা বাগানে দাপিয়ে বেড়িয়ে অবশেষে মারা গেল একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ বাইসন। বন কর্মীদের ঘুমপাড়ানি গুলিতে ছুটন্ত বাইসনটিকে ধরা গেলেও সেটির জ্ঞান ফেরেনি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মেটেলি ব্লকের নাগেশ্বরি ও আইভিল বাগানে। বাইসনটি ভোরের দিকে প্রথমে নাগেশ্বরী চা বাগানে ঢুকে পড়ে। পরে বাইসনটি আইভিল চা বাগানে যায়। বাগানের ২ নম্বর সেকশনে ঘুমপাড়ানি গুলিতে ঘায়েল হয় বাইসনটি। জলপাইগুড়ির ডিএফও (বন্যপ্রানী-২) সুমিতা ঘটক বলেন, “বাইসনের হৃদযন্ত্র দুর্বল। দৌড়াদৌড়ির ধকলে বাইসনের মৃত্যু হয় বলে মনে হচ্ছে।” |