অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রেহাই পেতে শহর থেকে চামড়া, রবার ও প্লাস্টিকের সব কারখানা সরানো প্রয়োজন বলে জানালেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান। সোমবার বিধানসভায় এসইউসি বিধায়ক তরুণ নস্করের দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিস ছিল কলকাতা শহরের বাজারগুলি আগুনের হাত থেকে বাঁচাতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। জবাবে দমকলমন্ত্রী বলেন, “ওই সব কারখানা কলকাতা উপনগরী থেকে সরিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলায় করা দরকার।” তিনি জানান, রাসায়নিক-সহ বিস্ফোরক দ্রব্য এবং পরিবহণ দফতরের গুদামও শহর থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। এই প্রস্তাবগুলি বিবেচনার জন্য প্রশাসনের গোচরে আনা হয়েছে।
এ দিনই আবার মহাকরণে টাস্কফোর্সের (বাজার) সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের বিভিন্ন বাজারের অগ্নি-নির্বাপণ বিধির কাজ কতটা এগোলো, তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। বলা হয়, বড়বাজার, পোস্তা, তিলজলা ও তপসিয়ায় আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি ঢোকার রাস্তা না থাকায় সমস্যা হয়। ঘিঞ্জি ওই এলাকার আগুন নেভাতে গভীর নলকূপ বসানোর প্রস্তাব ওঠে। তা দ্রুত কার্যকর করতে পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে নির্দেশ দেন মমতা।
টাস্কফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান, পোস্তা, বড়বাজার, তিলজলা এবং তপসিয়ায় ১০টি গভীর নলকূপ বসানো হবে। তা বসাতে এমপি ল্যাড থেকে টাকা দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথবাবু আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতার সমস্ত পুরবাজারে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে লেক মার্কেট দ্রুত খোলার ব্যাপারেও পুরসভাকে পদক্ষেপ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, যৌথ উদ্যোগে নব কলেবরে গড়ে উঠেছে লেক মার্কেট। কিন্তু জনা পঞ্চাশেক হকার প্রবেশপথ জুড়ে থাকায় তা খোলা যাচ্ছে না। সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন সুব্রতবাবুর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনাও করেন মমতা। পরে মার্কেট খোলা নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন পুর কমিশনারকে।
পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিংহ জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজ, মঙ্গলবার পুরসভায় বাজার নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই লেক মার্কেট খোলা ও কয়েকটি এলাকায় গভীর নলকূপ বসানোর পরিকল্পনা করা হবে। রাজ্যের অন্যত্র অগ্নি-সুরক্ষা নিয়ে আজ মুখ্যসচিবের ঘরে একটি বৈঠক হবে। সেখানে পুলিশ ও দমকলের উচ্চপদস্থ অফিসাররা হাজির থাকবেন। |