বিরোধী বিএনপি ও তার সহযোগী দলগুলির ডাকা বন্ধের প্রথম দিনে অশান্তই রইল বাংলাদেশ। বার বার বন্ধ-হরতালে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি নিয়ে সরব হয়েছে শিল্প ও বণিক মহল। আইন পাশ করে হরতাল বন্ধের দাবি করেছেন ফেডারেশন চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট শেখ আক্রম হোসেন।
গত ১১ মার্চ শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সভার সময়ে হঠাৎ গোলমাল শুরু হয়। তার পরেই ঢাকার নয়া পল্টন এলাকায় বিএনপি-র সদর দফতর থেকে ১৫৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে নিরাপত্তাবাহিনী। নিরাপত্তাবাহিনীর দাবি, বিএনপি সদর দফতর থেকে বোমা উদ্ধার করেছিল তাঁরা। ধৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতেই দু’দিন বন্ধ ডেকেছে বিএনপি ও সহযোগী দলগুলি।
এর পাশাপাশি রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিএনপি-র সহযোগী জামাতে-ইসলামির নেতাদের বিচার বন্ধের চেষ্টাও। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই বন্ধ-হরতালে উত্তাল বাংলাদেশ।
গত কাল রাত থেকেই গোলমাল শুরু হয়েছিল ঢাকায়। আজ শহরের মতিঝিল, মীরপুর, শ্যামলী ও গাবতলি এলাকায় বোমা ছুড়েছে বিরোধী সমর্থকরা। পল্লবীর কলসি এলাকায় একটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তা ছাড়া বহু এলাকায় হঠাৎ মিছিল বের করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়েছে।
কামালপুর স্টেশনের কাছে এক বন্ধ সমর্থকের হাতে বোমা ফেটে যায়। ফলে আহত হয় তিন বন্ধ সমর্থক। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকায় আজ বাস চলাচল ছিল কমই। ছাড়েনি দূরপাল্লার বাসও। তবে স্বাভাবিক ছিল ট্রেন চলাচল। সরকারি দফতর, আদালত, ব্যাঙ্কে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে।
আজ ঢাকার সুরাবর্দি ময়দানে একটি জনসভা করে শাসক আওয়ামি লিগ। তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া অস্থির হয়ে উঠেছেন। এখন বিচার বন্ধে তিনি রক্তপাতের হুমকি দিচ্ছেন।” হাসিনা জানিয়েছেন, যে ভাবেই হোক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করা হবেই। এ দিকে বার বার হরতালে গোটা দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে বলে মনে করছে শিল্প মহল। ফেব্রুয়ারি মাসে হরতাল ও সরকারি ছুটির বাইরে মাত্র ৭ দিন সময় পাওয়া গিয়েছে। মার্চ মাসের প্রথম ২০ দিনের মধ্যে কাজ হয়েছে মাত্র ৫ দিন। বাকি ১৫ দিনই নষ্ট হয়েছে বন্ধ ও ছুটিতে। |