|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
মাছের কাঁটা খাও? |
আমাদের বাড়ির পিছনে একটা পুরনো ধানের গোলা আছে। এক দিন দেখলাম, ওখানে আমাদের বাড়ির বেড়ালটার তিনটে বাচ্চা হয়েছে। একটা সাদা, তার কপালের মাঝখানে টিপের মতো কালো দাগ। আর বাকি দুটোর একটা ধুসর আর একটা কালো কুচকুচে। তবে কোনওটারই চোখ মেলা নয়। কিছু দিন পরে দেখলাম মা বেড়ালটা মুখ দিয়ে বাচ্চাগুলোর গলা ধরে আমাদের বাড়ির সিঁড়িঘরে নিয়ে গেল। কয়েক দিন পরে তাদের চোখ ফুটল। আমি প্রতি দিন সেখানে ভাত আর মাঝে মাঝে মাছের কাঁটা দিয়ে আসতাম। প্রথম প্রথম খেতে পারত না। কিন্তু এখন সব খেতে পারে।
মুনিরা খাতুন। পঞ্চম শ্রেণি, করণদিঘি হাইস্কুল, উত্তর দিনাজপুর |
|
খোঁড়া শালিকের কথা |
আমাদের বাড়ির সামনে একটা ছোট উঠোনে দেখি একটা খোঁড়া শালিক লাফাতে লাফাতে খাবার খুঁজছে। একটা খোঁড়া থাকার জন্য সে ঠিক মতো চলতে পারছে না। তাই দেখে আমার খুব কষ্ট হল। আমি একছুটে বাড়ির ভেতর থেকে কিছু মুড়ি উঠোনে ছড়িয়ে দিলাম। দেখি পাখিটা প্রথমে ভয় পেয়ে উড়ে পালাল। তার পর সাহস করে কিছুক্ষণ পর উড়ে এসে মুড়িগুলো খুঁটে খুঁটে খেতে লাগল। এর পর দেখি সে এক সঙ্গীকে নিয়ে হাজির হল। এখন তারা প্রতিদিন আসে। কাউকে ভয় পায় না।
সৌর রায়মহাপাত্র। কেজি টু, শিশুতীর্থ নার্সারি স্কুল, ভগবানপুর |
|
পাখিদের সুইমিং পুল |
বাড়ির পাশেই একটা বাড়ি নির্মিত হয়েছে। প্রথম ছাদ হওয়ার পর জল ঢেলে জমিয়ে রাখা হয়েছিল। দেখি কাক, শালিক, চড়ুইরা ওই জমা জলে মনপ্রাণ ভরে স্নান করছে। তাদের ছানারাও খেলার ছলে স্নান করছে। সকাল থেকে বিকাল, এরা আসা-যাওয়া করত। মনে হত, ছাদটা যেন সুইমিং পুল!
শ্রেয়শ চট্টোপাধ্যায়। তারকেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, হুগলি |
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি,
পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল
টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও,
চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|