মনমোহন-সনিয়াকে মালদহে স্বাগত জানাবেন কৃষ্ণেন্দু |
এক বেলার সফরে শনিবার মালদহে আসা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীকে স্বাগত জানাতে মুখ্যমন্ত্রী নন, রাজ্য সরকারের পক্ষে মালদহে হাজির থাকছেন সদ্য দলবদল করা ইংরেজবাজার বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের পযর্টনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তবে, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে শুক্রবার সকালেই পদাতিক এক্সপ্রেসে মালদহে পৌছে গিয়েছেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন।
কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও সনিয়া গাঁধীকে স্বাগত জানানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে থাকতে পারছেন না। আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। কোতোয়ালির হেলিপ্যাডে আমি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সনিয়াজিকে স্বাগত জানাব।” দুই ভিভিআইপি-র ঘণ্টা কয়েকের সফর ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকেই কার্যত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মালদহ। আজ, শনিবার সকালে, গনিখান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র শিলান্যাস করতে শহরে আসছেন মনমোহন সিংহ এবং সনিয়া গাঁধী। জেড-প্লাস পর্যায়ের দুই ভিভিআইপি-র নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে দিল্লি থেকে শুক্রবারই এসে গিয়েছেন স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) নিরাপত্তা রক্ষীরা। রাজ্যও বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় দুশো পদস্থ পুলিশ কর্তার সঙ্গে মালদহে মোতায়েন করেছে ১৪০০ পুলিশ কর্মী। এ দিন সকাল থেকেই শহরের কোতোয়ালি ও নারায়ণপুর এলাকার দখল নিয়েছেন তাঁরা। এসপিজি-র জনা তিরিশ নিরাপত্তারক্ষীর নজরদারি এড়িয়ে গনি পরিবারের কোতোয়ালি প্রাসাদে প্রবেশের উপরে ইতিমধ্যেই দাঁড়ি পড়ে গিয়েছে। সকালে দিল্লি থেকে বিহারের পূর্ণিয়া হয়ে প্রধানমন্ত্রী ও ইউপিএ সভানেত্রী বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে মালদহ পৌঁছবেন বেলা সওয়া এগারোটা নাগাদ। তাঁদের সঙ্গেই থাকছেন, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। হেলিপ্যাড থেকে তাঁরা যাবেন গনি খান চৌধুরীর সমাধিস্থলে। মিনিট পাঁচেক সেখানে থেকে তারপর পায়ে হেঁটে প্রধানমন্ত্রী কোতোয়ালিতে গনির বাড়িতে যাবেন। মিনিট পনেরোর বিশ্রাম সেরে এর পর প্রধানমন্ত্রী ও সনিয়া গাঁধী সড়ক পথে হেলিপ্যাড এবং সেখান থেকে হেলিকপ্টারে নারায়ণপুরে পৌঁছবেন। |