|
|
|
|
দ্রুত বর্ষা চাইছেন চাষিরা |
|
লঙ্কা-পাটে পোকার হানা ময়নাগুড়িতে
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য • ময়নাগুড়ি |
|
একে সেচ সেবিত জমি কম। তার উপরে মার্চ মাসের মাঝামাঝি বৃষ্টির দেখা নেই। মহকুমা জুড়ে খেতের মাটি শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। বেশি সমস্যায় পাট চাষিরা। লঙ্কা খেতে শুরু মাকড়ের উপদ্রব। কৃষি আধিকারিকরা মনে করছেন দু’সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। জলপাইগুড়ি মহকুমা কৃষি আধিকারিক হরিশ্চন্দ্র রায় বলেন, “প্রতি বছর মার্চ মাসের শুরু থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও বৃষ্টি হয়। এ বার বৃষ্টির দেখা নেই। ১৫ দিন ওই পরিস্থিতি চললে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হবে।” কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের কর্তারা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন। দফতরের সিকিম বিভাগের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “মার্চ মাসে ঝড়বৃষ্টি হয়ে থাকে। এ বার এখনও হয়নি। আগামী দু’দিন পরে উত্তরবঙ্গের সমতল এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।”
কৃষি কর্তারা জানান, জলপাইগুড়ি মহকুমায় কৃষি জমি রয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার হেক্টর। ৪০ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায়। ওই এলাকার ১০ হাজার হেক্টর তিস্তা সেচ প্রকল্পের জল পায়। মহকুমায় পাট চাষের এলাকার পরিধি ৩২ হাজার হেক্টর। ওই জমির প্রায় অর্ধেক সেচের আওতার বাইরে। কৃষক সভার জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য নির্মল চৌধুরী বলেন, “খুবই সামান্য জমি সেচের আওতায় আছে। বিস্তীর্ণ এলাকার জমি শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে। এত দিনে পাটের বীজ ছড়ানো শুরু হয়ে যায়। এ বার কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। চাষিদের বৃষ্টির অপেক্ষায় গালে হাত নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে।” ময়নাগুড়ি এলাকার পাট চাষিরা জানান, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাটের বীজ ছড়ানো শুরু হয়। চলে মাস জুড়ে। বৃষ্টির অভাবে মাটি শুকিয়ে থাকায় এ বার জমি তৈরির পরেও বীজ বোনার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। শুধু পাট চাষের সমস্যা নয়। খাগরাবাড়ি এলাকার চাষি রমেশ রায় বলেন, “উচ্ছে খেত শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। এখনও ঝিঙার মতো বর্ষাকালীন সবজির বীজ বোনা যায়নি। কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে খেতে সবজি থাকবে না।” বৃষ্টির অভাবে ফসলে পোকা মাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় লঙ্কা চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। ময়নাগুড়ি ব্লক কৃষি আধিকারিক সঞ্জীব দাস জানান, বিভিন্ন এলাকার লঙ্কা খেতে মাকড়ের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সাপ্টিবাড়ি এলাকার লঙ্কাচাষি সুবোধ বর্মন বলেন, “মাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় গাছের ফলন কমছে। গাছ মরে যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়িই বৃষ্টি না হলে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।” |
|
|
|
|
|