সেনা আপত্তিই বড়, মত অফিসারদের
বাগডোগরায় রাতে উড়ানে বাধা ১১ পরিবার: মুখ্যমন্ত্রী
১টি পরিবারের জন্য বাগডোগরায় রাতে বিমান ওঠানামা করতে পারছে না। শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানান। তাঁর বক্তব্য, ওই ১১টি পরিবারের জন্য আটকে রয়েছে বাগডোগরার নাইট-ল্যান্ডিং (রাতে বিমান নামা-ওঠা) সুবিধা। তা চালু করতে গেলে প্রয়োজন জমি অধিগ্রহণ। কিন্তু, পরিবারগুলির জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাচ্ছে না।
বাস্তব চিত্র অবশ্য অন্য কথাই বলছে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, চাইলে এখনই রাতে নিয়মিত যাত্রী-বিমান ওঠানামা করতে পারে বাগডোগরা থেকে। বাদ সাধছে বায়ুসেনা। এখনই সূর্যাস্তের পরে বিমান ওঠানামা করলে অতিরিক্ত লোকবল লাগবে বায়ুসেনার। আর সমস্যা সেখানেই।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, রাতে বিমান ওঠানামার জন্য যে যে সুবিধার প্রয়োজন সেই রানওয়ের আলো, ট্যাক্সি-বে’র আলো, পার্কিং-বে’র আলো সমস্তই রয়েছে বাগডোগরায়। এমনকী, জরুরি অবস্থায় রাতে সেখান থেকে বিমান ওঠানামা করেছে। অনেক সময়েই সে সব বিমানের যাত্রী ছিলেন ভিআইপিরা। জানা গিয়েছে, মার্চ মাসেই এক রাতে দিল্লি থেকে ছোট্ট বিমান এসে নামে সেখানে। বিমানটিতে অ্যাম্বুল্যান্সের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ছিল। শিলিগুড়ির বাসিন্দা অসুস্থ এক ব্যক্তিকে নিয়ে সেটি সেই রাতেই চলে যায় দিল্লি।
যাত্রী-বিমানের ক্ষেত্রে তাহলে কেন সমস্যা হচ্ছে? বিমানবন্দর কতৃর্পক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগডোগরা বিমানবন্দর বায়ুসেনার নিয়ন্ত্রণাধীন। জানা গিয়েছে, ভারতের বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-ও ইতিমধ্যে সেখানে সূর্যাস্তের পরে যাত্রী-বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছে। আপত্তি রয়েছে শুধু বায়ুসেনারই। বায়ুসেনা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সূর্যাস্তের পরে বিমান ওঠানামার সুবিধা তৈরি হলে বাগডোগরায় অনেক বেশি বিমান ওঠানামা করবে। এখন বাগডোগরায় টিকিটের চাহিদা অনেক বেশি। উত্তরবঙ্গ, সিকিম, ভূটান-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় পর্যটকের যাতায়াত বেড়েছে। এই অবস্থায় উড়ান সংখ্যা বাড়লে পর্যটন ক্ষেত্রে সুবিধে হবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মাঝে মধ্যেই বাগডোগরায় খারাপ আবহাওয়ার জন্য বিমান ওঠানামায় অসুবিধা হয়। সে ক্ষেত্রে সেখানে আধুনিক ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) বসানো হলে কম দৃশ্যামানতায় নেমে আসতে পারবে বিমান। সঙ্গে রানওয়ের যে কোনও প্রান্ত থেকে ৯০০ মিটার পর্যন্ত বসাতে হবে অ্যাপ্রোচ লাইট বা বিশেষ ধরনের আলো। জরিপ করে দেখা যায়, বায়ুসেনার অধীনে রানওয়ের দক্ষিণ দিকের প্রান্ত থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত জমি রয়েছে। তার পরেও ৬০০ মিটার পেতে গেলে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। সেই অধিগ্রহণের কাজ আগেই শুরু হয়ে যায়। ২৩ একর জমি অধিগ্রহণের পরে দেখা যায় আরও ১.২৮ একরেরও বেশি জমি প্রয়োজন। সেখানেই বসে রয়েছে ১১টি পরিবার। জায়গাটি ফাঁসিদেওয়া এলাকায়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ওই ১১টি পরিবারের কথাই উল্লেখ করেছেন। ওই জমিটুকু অধিগ্রহণ করতে পারলে আইএলএস বসানো সম্ভব হবে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “ওই পরিবারদের সরকার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে। আমরা তো গুলি করে উচ্ছেদ করতে পারি না। আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.