|
|
|
|
পুরবোর্ড কোন পথে, জল্পনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রথম দেড় বছর কেটেছে সিপিএম এর হাত ধরে, তারপরের দু’বছর কাটল তৃণমূলকে জোটসঙ্গী করে, বর্তমানের পুরবোর্ড কার হাত ধরে হাঁটবে তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। তবে দু’পক্ষই কিছুটা সুর নরম করেছে। জোটসঙ্গী কংগ্রেস-তৃণমূল উভয়ই চাইছে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার রাস্তায় হাঁটতে। আগামী দেড় বছর এক সঙ্গে চলতে সম্মতি রয়েছে দুই দলেরই। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে রাজি রয়েছেন তাঁরা। একই কথা জানান, কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সমতলের সভাপতি শঙ্কর মালাকার।
বর্তমান পুরসভার টালমাটাল পরিস্থিতিতে অন্ধকারে বাজেট ভবিষ্যৎ। এই মাসের ২৩ তারিখ পুরসভায় বাজেট পেশ করবেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। কিন্তু বাজেট অধিবেশনে কী ভূমিকা নিতে চলেছে তিন পক্ষ তা নিয়েই চলছে আলোচনা। মেয়র বাজেট পেশ করবেন সেই কারণে কংগ্রেসি কাউন্সিলররা উপস্থিত থাকবেন তা বলাই বাহুল্য। তৃণমূল ও বামেদের অবস্থান কী হবে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। যেহেতু ১৩ মার্চের চেয়ারম্যান নির্বাচনী সভায় কোরাম না করেই তৃণমূল কাউন্সিলরদের ভোটে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নান্টু পাল,ওই বৈঠক বৈধ বলে মানতে নারাজ কংগ্রেস ও বামেরা। তবে নিয়ম বলে বাজেট অধিবেশনে সভা পরিচালনা করার দায়িত্বভার সামলাবেন নান্টু পাল। কিন্তু অবৈধ সভার মাধ্যমে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বাজেট মানতে নারাজ বামেরা। তবে বাজেটে নিজেদের সঠিক অবস্থান কি তা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, এই অচলাবস্থায় মেয়র চাইলে বাজেট অধিবেশন পিছিয়ে দিতে পারেন, এ ক্ষেত্রে সরকারের কাছে সময় চাইতে পারেন মেয়র। তবে নিজেদের অবস্থান কী হবে তা নিয়ে সময় কেনার রাজনীতিতেই হাঁটছেন বামেরা। তবে নান্টু পালের সভাপতিত্বে বাজেট পেশ হবে কি না এ বিষয়ে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানান, আইনি পথেই সিদ্ধান্ত হবে।
অন্য দিকে, বাজেটে তৃণমূলের অবস্থান কি হবে তা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সূত্র খুঁজতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। মেয়র ক্ষমতাবলে মেয়র পারিষদদের ক্ষমতাচ্যূত করাতেই জটিলতা বেড়েছে। দফতরগুলি পুনরায় ফিরে পেতে উৎসাহী তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, জোটের স্বার্থ মেনে মেয়র পারিষদ পদ ফিরে পেলেই বাজেট সমর্থন করবেন তাঁরা। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী দু’পক্ষই। সুষ্ঠু ভাবে বাজেট পেশ ও অনুমোদন করিয়ে নিয়ে শহরবাসীর কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে মরিয়া কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রে খবর, আলোচনা করেই সমাধানের পক্ষে তাঁরা। দাবি একটাই আলোচনার বাইরে রাখতে হবে দলত্যাগী নান্টু পালকে। আলোচনায় সম্মতি রয়েছে তৃণমূলেরও। তবে বাজেট অধিবেশনের মাধ্যমে নিজের পদ পাকা করতে চাইছেন নান্টু পাল। তাঁর কথায় বাজেট অধিবেশনে চেয়ারম্যান থাকবেন তিনি আর তাতেই বৈধতা মিলবে। অন্য দিকে বিভাগীয় দায়িত্বে মেয়র পারিষদরা না থাকায় পরিষেবা বিপর্যস্ত হচ্ছে শহরে। বিভিন্ন জায়গায় জঞ্জাল অপসারণ হয়নি, গাড়ি পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এমন অনেক অভিযোগ আসছে বলে জানান জঞ্জাল বিভাগের প্রাক্তণ মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত। তবে সমস্যা কিছু নেই বলে দাবি করেন মেয়রের। সঠিকভাবে কাজ পরিচালনার জন্য শুক্রবার বোরো অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। নিয়মমাফিক এই বৈঠক করা হবে বলে জানান মেয়র। |
|
|
|
|
|