কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অধিকার প্রকল্পে’ অধীনে দরিদ্রদের গৃহ নির্মানের কর্মসূচিতে দলীয় রাজনীতি করা হচ্ছে বলে তৃণমূলের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। রাজ্যের ১১টি জেলার বিভিন্ন ব্লকে অধিকার প্রকল্পে গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ৮,৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই প্রকল্পে বিধায়কদের দেওয়া তালিকা অনুসারে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবার মানসবাবু অভিযোগ করেন, “বিরোধীদের এলাকায় ওই কাজ হচ্ছে না। সবই হচ্ছে তৃণমূলের বিধায়কদের এলাকায়।”
বিধানসভায় এই বিষয়ে মানসবাবুর প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় লিখিতভাবে উত্তর দিয়েছেন। মন্ত্রী জানিয়েছেন দুই দিনাজপুর, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন ব্লকে ৩৪,৫০৬টি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। চলতি বছরে ৮ জানুয়ারি প্রথম কিস্তির টাকা ১১টি জেলার জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানসবাবুর নির্বাচনী কেন্দ্র পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং তালিকায় থাকলেও সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও বাড়ি তৈরি করা হয়নি। সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, সবং ব্লকে অধিকার প্রকল্পে কোনও গৃহ নির্মানের প্রস্তাব এই মুহূর্তে নেই।
মানসবাবুর অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজে রাজনৈতিক কোনও রং দেখা হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেও, তাঁর সরকার রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়েই কাজ করছে। তাই সবং ব্লকে কাজ হচ্ছে না।” সুব্রতবাবু অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর কথায়, “এই কাজে কোনও রাজনীতি করা হচ্ছে না। কাজ হচ্ছে ধাপে ধাপে। যেমন টাকা পাচ্ছি, সেই মতোই কাজ হচ্ছে।”
|
গরহাজিরায় চিঠি রাজ্যের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কিছু কিছু শো-কজ ছাড়া গত বছরের বন্ধে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনুপস্থিতদের বিরুদ্ধে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তার মধ্যেই এ বার ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারির বন্ধে গরহাজির শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে চিঠি পাঠাল উচ্চশিক্ষা দফতর। ৩১ মার্চের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে দফতরের কাছে। বন্ধে রাজ্য সচল রাখতে গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারির ধর্মঘটের আগে অর্থ দফতর নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, ধর্মঘটে অনুপস্থিতদের ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। সে-বারেও সরকার চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিল, গরহাজিরদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদিও তাতে খুব একটা সাড়া মেলেনি। এ বছরও ধর্মঘটের আগে ওই নির্দেশিকা বলবৎ করে সরকার। ধর্মঘটে গরহাজিরার জন্য শুধু বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কিছু শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে। ওই শিক্ষকেরা আইনজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে চিঠির উত্তরও দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।
|