রাজ্যে অটোরিকশার সঠিক সংখ্যা নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য নেই রাজ্য সরকারের কাছে। ফলে, বেআইনি অটোর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্ত পরিবহণ দফতর। বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন খোদ পরিবহণ মন্ত্রীই।
বিধানসভায় শুক্রবার পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র জানিয়েছেন, এ রাজ্যে ৯০ হাজারেরও বেশি বেআইনি অটো চলে। অথচ ক’দিন আগে মহাকরণে তিনিই বলেছিলেন, বেআইনি অটোর সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো। সম্প্রতি হাইকোর্টে একটি মামলাতে সরকারি আইনজীবীও এই তথ্য দিয়েছিলেন।
গত বছর অটো পরিবহণে শৃঙ্খলা ফেরাতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী। সেই কমিটি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল, কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকা মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার বেআইনি অটো চলে। পরিবহণ দফতরের একাধিক কর্তার কথায়, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাতেই সব চেয়ে বেশি অটো চলে। তাই সেখানে ১৫ হাজার বেআইনি অটো চললে সারা রাজ্য মিলিয়ে তা ৯০ হাজার হওয়াটা কার্যত অসম্ভব।
পরিবহণ কর্তাদের মতে, রাজ্যে কত বেআইনি অটো চলে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়াটাই বোকামি। কারণ, এই সংখ্যা জানে না কেউ। হিসেব নেই পরিবহণ দফতরের কাছেও।
এই অবস্থায় আইনি অটোর সংখ্যা জানতে হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়কেই হাতিয়ার করতে চাইছে রাজ্য। কারণ, কলকাতা হাইকোর্ট গত ৮ মার্চ জানায়, মিটার ছাড়া রাজ্যের কোথাও অটো চালানো যাবে না। অটোর ভাড়া বেঁধে দিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।
হাইকোর্টের রায় মেনে অটোয় মিটার লাগাতে গেলেই এ রাজ্যে বৈধ অটোর সংখ্যা জানা যাবে বলে মনে করছে পরিবহণ দফতর। কারণ, কেবল বৈধ অটোকেই মিটার দেওয়া হবে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তার কথায়, “অটোয় মিটার লাগানো শুরু হলেই সরকারি ছাঁকনিতে সব অবৈধ অটো আটকে যাবে। পড়ে থাকবে শুধু বৈধ অটো।” ৮ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সব অটোয় মিটার বসানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু এত অল্প সময়ে তা করতে গেলে বিরোধ বাধবে বলে বিধানসভায় জানান পরিবহণ মন্ত্রী। |