গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার প্রেক্ষাগৃহে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একক শাস্ত্রীয় সংগীত। তিনি এখানে ইমনকল্যাণ ও গাওতী রাগে খেয়াল এবং মিশ্র খাম্বাজ রাগে ঠুমরি পরিবেশন করেন। এ ছাড়াও মিশ্র বাগেশ্রী রাগে ঝাঁপতালের উপর বিবেকানন্দের লেখা ও সুরে ‘নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি’ গান দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন। শিল্পী ইমনকল্যাণের তিনটি বন্দিশ শোনান। একটি বিলম্বিতে, একটি মধ্যলয়ে এবং একটি দ্রুতে। শেষ করেন তারানা দিয়ে। গাওতী রাগে প্রথমে দাদরা এবং পরে একটি দ্রুত তিনতাল পরিবেশন করেন। শিল্পীকে তবলায় সঙ্গত করেন রূপক ভট্টাচার্য এবং হারমোনিয়মে প্রদীপ পালিত।
কসূর পাতিয়ালা ঘরানার এই শিল্পীর গায়কির বিশেষত্ব হল আ-কার, বেহালবা ও সপট তানের প্রয়োগ। খেয়াল গানে তাঁর খটকা, মুড়কি ও জমজমার প্রয়োগ বড়ে গুলাম আলি খানের ঘরানাকেই মনে করিয়ে দেয়। শিল্পীর গলা নিটোল। স্বরের দীর্ঘস্থায়ী প্রয়োগ খুবই সাবলীল এবং কম্পনহীন। একই শব্দকে কত বার কত রকম ভাবে বলা যায় তা শিল্পীর গানে সুন্দর ভাবে ধরা পড়েছে। উচ্চারণভঙ্গি স্পষ্ট। বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরে প্রতিটি রাগই একটা পরিপূর্ণ মাত্রা পেয়েছে। বিস্তার এবং তানের শেষে অতি অনায়াসেই তিনি গানের মুখরায় প্রতি বারই সাফল্যের সঙ্গেই ফিরে এসেছেন।
|
সম্প্রতি ওকাকুরা ভবনে বিধাননগর ডাকঘর আয়োজিত বার্ষিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হল ছন্দনীড়ের বর্ষার দু’টি গান দিয়ে। পরে শিল্পীর পরিচালনায় ‘শ্রাবণের আমন্ত্রণ’ মঞ্চস্থ হল। তৃপ্তি সেনের ‘আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে’ গানটি শুনে মন ভরে গেল। পর পর দ্বৈত গান, একক গান। একক গানে সুদেষ্ণা ভট্টাচার্য সাবলীল। এ ছাড়া কোয়েল গোস্বামী, সুমিতা সাহা, শ্রেয়া দাস, শুভেন্দু তালুকদার প্রত্যেকের গলাতেই উপযুক্ত তালিমের পরিচয় মেলে। বর্তমানে নাচ ও গানের লাইভ শো খুব কমই দেখা যায়। প্রত্যেকটি নাচ প্রশংসিত হয়েছে। গ্রন্থনায় ছিল অনুতোষ মুখোপাধ্যায়। |