|
|
|
|
জাল শংসাপত্র, অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
সরকারি প্যাড, প্রধানের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র-সহ একাধিক জাল শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, এগরার বাথুয়াড়ি পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয় কুম্ভধড়বাড় গ্রামের বাসিন্দা পল্টু খাটুয়া নামের ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে এগরার মহকুমাশাসক অসীমকুমার বিশ্বাসের নির্দেশে অভিযোগ দায়ের করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের নীলরতন মাইতি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পলাতক।
পঞ্চায়েত এলাকায় জন্ম-মৃতু্যর শংসাপত্র দেওয়ার প্যাড সরকারি ভাবে স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাঠানো হয়। শংসাপত্র দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট প্রধান নিজস্ব সিল ব্যবহার করে স্বাক্ষর করেন। তবেই সেই শংসাপত্র বৈধতা পায়। প্রধানের অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁর কাছেই কতগুলি শংসাপত্র এলে সেগুলি দেখে তিনি বুঝতে পারেন তা জাল। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পল্টু খাটুয়া নামের ওই ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে এমন শংসাপত্র দিচ্ছেন। বিষয়টি তিনি জানান বিডিও মৃন্ময় মণ্ডলকে। বিডিও বলেন, “ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমাশাসক। জাল শংসাপত্রগুলি পঞ্চায়েত বা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়ার জন্য প্রচার করা হচ্ছে।” অভিযুক্ত ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে মুহুরির কাজ করার পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে জন্ম-মৃত্যুর জাল শংসাপত্র, জাল রেশন কার্ড, এমনকী স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র দিতেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা প্রকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “ওই ব্যক্তি সিপিএমের ছত্রছায়ায় থেকে ওই কাজ করত। প্রধানের সঙ্গেও যোগসাজশ ছিল। সম্প্রতি উভয়ের মধ্যে বিরোধ হওয়ায় অভিযোগ জানিয়েছেন প্রধান।” প্রধান নীলরতন মাইতি বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিষয়টি আমার নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনে জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|