|
|
|
|
লালগড়ে মডেল স্কুল, জমি দিতে সম্মত জেলা পরিষদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মডেল স্কুল গড়ার জন্য জমি চেয়ে আবেদন করেছিল জেলা প্রশাসন। সেই আবেদনে সাড়া দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। ইদানীং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে জেলা পরিষদের চাপানউতোর চলছে। মতপার্থক্য দেখা দিচ্ছে। যদিও সেই ‘তিক্ত’ সম্পর্কের প্রভাব পড়েনি এ ক্ষেত্রে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “উন্নয়নের স্বার্থে আবেদন খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে।” রাজ্যে পালাবদলের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি ছিল, ক্ষমতায় এলে তিনি জঙ্গলমহল এলাকার উন্নয়ন করবেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে সেই প্রতিশ্রুতি পালনে পদক্ষেপও করেন তিনি। লালগড়-ঝাড়গ্রাম-বেলপাহাড়িতে এসে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন। বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ চলছে। কিছু প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হওয়ার মুখে। এ জন্য স্পেশাল প্যাকেজ তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, স্পেশাল প্যাকেজের প্রকল্প রূপায়িত হলে জঙ্গলমহল এলাকার পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁওয়া লাগবে। সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে ছাত্রী আবাস, মডেল স্কুল প্রভৃতি রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বিনপুর ১ অর্থাৎ লালগড় ব্লকেও একটি মডেল স্কুল হবে। এর জন্য জমি চিহ্ণিত করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, লালগড়ের শাঁখাখুলায় মডেল স্কুল তৈরি হবে। সঙ্গে ছাত্রাবাস। প্রাথমিক পরিকল্পনার সময় জেলা প্রশাসনের নজরে আসে, ওই এলাকায় ৭৯ ডেসিমেল জমি জেলা পরিষদের হাতে রয়েছে। প্রস্তাবিত স্কুলের জন্য এই জমি প্রয়োজন। ক’দিন আগে ওই জমি চেয়েই জেলা পরিষদের কাছে আবেদন করে জেলা প্রশাসন। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই এই নিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে। যেখানে জানানো হয়েছে, উন্নয়নের স্বার্থে জমি হস্তান্তর করছে জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের সভাধিপতির কথায়, “প্রশাসন জানিয়েছে ওখানে মডেল স্কুল হবে। সব দিক খতিয়ে দেখে ভূমি স্থায়ী সমিতি জমি দিতে রাজি হয়েছে। স্কুল হলে ভালই হবে।” |
|
|
|
|
|