দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
শুধুই আশ্বাস
হুলের শাসন
শার উপদ্রবে অতিষ্ঠ বেহালা, মহেশতলা এবং বজবজ পুর এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার খোলা নর্দমাগুলিই মশার আঁতুড়। নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ায় আবর্জনা জমে থাকে। দুর্গন্ধও ছড়ায়। বর্ষায় চরম দুর্ভোগ হয়।
বাসিন্দারা জানান, দিনের পর দিন এই পরিবেশের মধ্যে কাটাতে হচ্ছে। বিভিন্ন মহলে সুরাহা চেয়েও লাভ হয়নি। সরশুনার বাসিন্দা মিহির পালের কথায়: “সারা দিন মশার উপদ্রব চলে। পুরসভা কীটনাশক ছড়ালেও কিছুই লাভ হয় না।” বন্ধ নর্দমার জন্য বর্ষায় জল জমে যায়। নর্দমার আর বৃষ্টির জল মিশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। জল সহজে নামে না।
১৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ বলেন, “মশা মারার কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। তিন দিন অন্তর কীটনাশক ছড়ানো হচ্ছে। খোলা নর্দমাগুলি সংস্কারের জন্য টাকাও বরাদ্দ হয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।” ১৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান মানিক চট্টোপাধ্যায়ের কথায়: “অনেক জায়গাতেই বরো কমিটির উদ্যোগে খোলা নর্দমার সংস্কার হয়েছে। টাকা পেলে আরও কাজ হবে।”
মহেশতলা পুরসভার অধিকাংশ এলাকাতে এখনও খোলা নর্দমা রয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় এই নর্দমাগুলি থেকে জল ঠিকমতো সরে না। ফলে সারা দিন মশা, মাছির উপদ্রব লেগে থাকে। পুরসভা সূত্রে খবর, খোলা নর্দমাগুলির সংস্কারের জন্য পরিকল্পনা হলেও বাস্তবে কিছুই কাজ হয়নি। মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের দুলাল দাস বলেন, “এলাকায় খোলা নর্দমা যাতে না থাকে তার জন্য আমরা
ভুগর্ভস্থ নিকাশির পরিকল্পনা করেছি। আশা করছি, ২০১৩-’১৪ আর্থিক বছরে এই কাজ শুরু করতে পারব।”
খোলা নর্দমা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বজবজ এলাকার বাসিন্দাদেরও। বাসিন্দারা জানান, নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার করা হয় না। মাঝেমধ্যেই তীব্র দুর্গন্ধ বেরোয়। পুরসভার তরফ থেকে মাঝেমধ্যে মশা মারার কীটনাশক ছড়ানো হলেও লাভ হয় না। অনেক জায়গায় নর্দমার মুখ আটকে গিয়েছে। অনেক সময় নর্দমার জল উপচে রাস্তায় চলে আসে বলেও অভিযোগ। বজবজ পুরসভার উপ-পুরপ্রধান কংগ্রেসের গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় বজবজের নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করা হচ্ছে। ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত শেষ হবে।”

ছবি: অরুণ লোধ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.