জীবনের প্রথম ডার্বি। টেনশন কমাতে সঙ্গী চেতন ভগতের ‘টু স্টেটস’। আর অধিনায়ক ওডাফা ওকোলির মূল্যবান টিপস এবং অবশ্যই ফুটবলার বাবার অনুপ্রেরণা!
চোটের কবলে থাকা টোলগে ওজবে হঠাৎ-ই নিজেকে সুস্থ বলতে শুরু করেছেন শুক্রবার থেকে। তবে অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার পুরো ব্যাপারটাই ছেড়ে দিয়েছেন কোচের উপর। টিম সূত্রের খবর, টোলগে নয়, রবিবার ওডাফার সঙ্গী হবেন কেরলের ছেলে গোলের মধ্যে থাকা সাবিথ-ই। এবং সেটা জেনেই ডার্বির আগে কেরল স্ট্রাইকারকে আগলে রাখছেন ওডাফা। সাবিথকে শান্ত থাকতে বলেছেন। সারাক্ষণ ফুটবলের ভাবনায় ডুবে না থেকে নিজেকে চনমনে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। এ দিন সকালে যুবভারতীতে অনুশীলনের পর বাগানের নতুন আশার আলো সাবিথ বলছিলেন, “ওডাফা আমাকে সব সময় মাঠের মধ্যেও গাইড করে। নানা রকম টিপস দেয়। ওর মতো এক জন আদর্শ ফুটবলারের পরামর্শ সব সময়ই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।”
টোলগে থাকা সত্ত্বেও আইএফএ শিল্ডে নিজের যোগ্যতায় প্রায় নিয়মিতই প্রথম একাদশে জায়গা পাচ্ছেন সাবিথ। তার পা থেকে একের পর এক গোল আসছে দেখে করিমও উচ্ছ্বসিত। মোহন কোচ বললেন, “সাবিথ ভাল ফর্মে আছে। ওর সঙ্গে ওডাফার বোঝাপড়াও বেশ ভাল।” আর যাঁর টিপস মেনে ডার্বির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন সাবিথ, সেই ওডাফা বলছেন, “ছেলেটার মধ্যে ভাল খেলে নিজেকে প্রমাণ করার যে চেষ্টা রয়েছে সেটাই ওকে সাফল্য এনে দিচ্ছে।”
শুধু সাবিথই নয়, পুরো দলের জন্যই অধিনায়কের টোটকা, “ডার্বিতে জিততে হলে সবাইকে উত্তেজনা কমিয়ে শান্ত থাকতে হবে।” সবুজ-মেরুন শিবিরে অবশ্য ওডাফার ‘নির্দেশ’-এর ফল বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে। এই মুহূর্তে চোট-আঘাত সমস্যায় জর্জরিত করিমের দল, তার মধ্যেই শিল্ড সেমিফাইনালে খেলতে নামার আগে বাগান বেশ চনমনে।
হঠাৎ-ই চোট সারিয়ে ডার্বির ৪৮ ঘণ্টা আগে অনুশীলনে নেমে টোলগে বলছেন, “একশো শতাংশ ফিট।” নবিও চোট সারিয়ে মাঠে নামতে মরিয়া। ডেনসনও মাঠে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত নবি বা ডেনসন খেলতে না পারলে ওদের জায়গায় আইবরকে তৈরি রাখছেন করিম। অনুশীলনের পর মরক্কান কোচ বলছিলেন, “আইবর হল আমার দলের মাইকেল এসিয়েন।” এর আগে নবি সম্পর্কেও একই কথা বলেছিলেন করিম।
ট্রেভর মর্গ্যানের দল যখন ভিয়েতনাম থেকে ফেরার জেট ল্যাগ কাটাতে বিশ্রামে, তখন মোহনবাগানে জোরকদমে চলছে অস্ত্রে শান দেওয়ার কাজ। নিজের মাঝমাঠ আর রক্ষণের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য শুক্রবার করিম আলাদা করে অনুশীলন করালেন ইচে, কুইনটনদের নিয়ে।
অনুশীলন দেখে মনে হল ইস্টবেঙ্গলের চিডি-বলজিতের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠের বোঝাপড়াই প্রধান চিন্তা করিমের। কারণ তিনি জানেন ইস্টবেঙ্গলকে বধের ওটাই একমাত্র পথ। মুখে অবশ্য ইস্টবেঙ্গলকে কিছুটা এগিয়েই রাখছেন তিনি। “ইস্টবেঙ্গল এখন ছন্দে রয়েছে। আমাদের বাড়তি সতর্ক থাকতেই হবে,” বলছিলেন ওডাফাদের কোচ। আসলে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়াতে এটাও চতুর করিমের অন্যতম স্ট্র্যাটেজি। |