ব্যাঙ্ক থেকে পশ্চিমবঙ্গ পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের ১২০ কোটিরও বেশি টাকা তছরুপের ঘটনায় ধরপাকড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এবং ব্যাঙ্ক সেই টাকা ফেরত দেবে বলে শুক্রবার জানিয়ে দেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
গোয়েন্দারা জানান, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম সার্কাস অ্যাভিনিউয়ের ইউকো ব্যাঙ্কে দু’দফায় ১২০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করেছিল। কিন্তু পরে ধরা পড়ে, সেই ডিপোজিটের সার্টিফিকেটগুলি জাল। অন্য সংস্থার অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে নিগমের টাকা। এই নিয়ে তোলপাড় চলছে। অর্থমন্ত্রী এ দিন জানান, সরকারি টাকা নিয়ে কেউ জালিয়াতি করতে পারে না। ওই ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয় কলকাতায়। তাই অসুবিধা হবে না। পুলিশ তদন্তে নেমে ব্যাঙ্ককর্তাদের গ্রেফতারও করেছে। নিগমের কেউ এই তছরুপে জড়িত কি না, তা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্তেই সব জানা যাবে। প্রয়োজন হলে আমরাও সব খতিয়ে দেখব।”
লালবাজারের গোয়েন্দাকর্তারা এ দিন দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের ১২০ কোটি টাকা যে-ভাবে তছরুপ হয়েছে, সেই কায়দায় রাজ্য বিপণন পর্ষদ এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ কোটি টাকাও তছরুপ হয়েছে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “বিপণন পর্ষদের ১৭ কোটি টাকা তছরুপের ঘটনায় যে-ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা পশ্চিমবঙ্গ পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের টাকা তছরুপের ঘটনাতেও জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ দু’টি ক্ষেত্রেই তছরুপের কায়দায় মিল দেখা যাচ্ছে।” পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের ১২০ কোটি টাকা তছরুপের ঘটনায় ইউকো ব্যাঙ্কের সার্কাস অ্যাভিনিউ শাখার ম্যানেজারকে বৃহস্পতিবারেই গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানান, অ্যালয়েস লাকড়া নামে ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে, কী ভাবে নিগমের টাকা দু’দফায় ভুয়ো অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছিল। কোন পদ্ধতিতে জাল করা হয়েছিল ফিক্সড ডিপোজিটের নথি। একই সঙ্গে জানার চেষ্টা হচ্ছে, নিগমের কোন কোন কর্তা এই তছরুপের ষড়যন্ত্রে জড়িত। |