প্রশাসনের বৈঠকে ঠিকাদার নিযুক্ত পাম্প অপারেটরদের বেতন মেটানোর সিদ্ধান্ত হওয়ায় তিন মাসের মাথায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর বা পিএইচই কোচবিহার মেকানিক্যাল সাবডিভিসন অফিসের তালা খুলল। বুধবার রাতে জেলাশাসকের দফতরে আয়োজিত বৈঠকে আগামী দশ দিনের মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বকেয়া বেতন মেটানোর সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার প্রতিনিধি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তা ও আন্দোলনকারী ঠিকাদার নিযুক্ত পাম্প অপারেটর কর্মী সংগঠনের নেতারা ছিলেন। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেছেন, “আলোচনায় সমাধান সূত্র মেলায় ওই অফিস খোলা গিয়েছে। দশ দিনে ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বেতন ঠিকাদার সংস্থাগুলি মিটিয়ে দেবে বলে বৈঠকে ঠিক হয়েছে। এ ধরণের সমস্যা এড়াতে আরও কিছু পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হচ্ছে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকাদার সংস্থাগুলিকে বৈঠকে দ্রুত বকেয়া মেটানোর ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। পরে গত ডিসেম্বর মাস পর্য্যন্ত বকেয়া বেতন আগামী দশ দিনের মধ্যে তারা মিটিয়ে দেবেন বলে চূড়ান্ত হয়। ১২ ডিসেম্বর ওই দফতরে তালা ঝোলানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দফতরের কাজ স্বাভাবিক হয়। পাম্প অপারেটর কর্মী ইউনিয়নের নর্দান ডিভিশন সম্পাদক গণেশ নন্দী বলেন, “জেলা প্রশাসন ও পিএইচই কর্তারা দশ দিনের মধ্যে ডিসেম্বর থেকে বকেয়া মেটাতে লিখিত আশ্বাস দেন। এর পরেই বুধবার রাতে অফিস খুলতে রাজি হয়েছি। ওঁরা আগে এ নিয়ে ঠিকাদারদের গড়িমসি বন্ধে কড়া পদক্ষেপ করলে আগেই অফিস খোলার পরিস্থিতি তৈরি হত।” পিএইচই-র মেকানিক্যাল কন্ট্রাক্টার্স অ্যাসোসিয়েশনেক নর্দান ডিভিসনের সম্পাদক পরিতোষ ভৌমিক বলেন, “গত ২১ মাস আমরা রাজ্য সরকার থেকে টাকা পাচ্ছি না। ফলে বকেয়ার পরিমাণ বেড়ে ১৬ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়েই বেতন মেটাতে সমস্যায় পড়তে হয়।”
|
প্রতিবাদে চিকিৎসকেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
এক বছর ‘হাউজস্টাফ’ হিসেব কাজ করার রীতি তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল সুপারের দফতরে অবস্থান করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শেষ পর্যন্ত এ বছর হাউজস্টাফ পদ্ধতি তোলা হবে না জানানো হলে বেলা ৫ টা নাগাদ অবস্থান তুলে নেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দাস বলেন, “এ বছর থেকে হাউজস্টাফ পদ্ধতি তুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তবে এ দিন স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতর থেকে জানানো হয় এ বছর ওই পদ্ধতি থাকছে।” |