সরকারি অনুদানহীন বেসরকারি বিএড কলেজে ছাত্র ভর্তি করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি মেধা-তালিকা মেনে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রসেনজিৎ মণ্ডল বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছেন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত তিনটি বিএড কলেজ তাদের পছন্দমতো ছাত্র ভর্তির আর্জি জানিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করেছিল। খড়্গপুর ট্রাইবাল বিএড কলেজ, কাদম্বিনী বিএড কলেজ এবং সুভাষচন্দ্র বসু বিএড কলেজ আদালতে বলে, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অনুমোদন দিয়েছে। মোট ১১টি বেসরকারি বিএড কলেজকে অনুমোদন দিয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়। সরকারের কাছ থেকে কোনও আর্থিক সহায়তা না-নিয়ে কলেজ-কর্তৃপক্ষ নিজেরাই প্রতিষ্ঠান চালান। তাই ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজেরই স্বাধীনতা থাকা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী দেবযানী সেনগুপ্ত বলেন, বেসরকারি কলেজগুলিকে অনুমোদন দেওয়ার চুক্তিতেই বলা আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা-তালিকা অনুযায়ী ছাত্র ভর্তি করতে হবে। পড়ুয়াদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ এবং মাসে মাসে কী পরিমাণ ফি নেওয়া যাবে, তা-ও ঠিক করে দেবে বিশ্ববিদ্যালয়। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, বেসরকারি বলেই ওই কলেজগুলি মেধা-তালিকা এড়িয়ে ভর্তি করতে পারে না। আদালত মেধার সঙ্গে আপস করার অনুমতি দিতে পারে না।
|
পরিষদীয় সচিব নিয়োগ নিয়ে জনস্বার্থের মামলাটি বিচারের জন্য গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে। আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাজ্য সরকার ১৩ জন পরিষদীয় সচিব নিয়োগ করেছে। বিধায়ক-সংখ্যার ১৫ শতাংশের বেশি লোককে মন্ত্রী করা যায় না। ওই ১৩ জনকে প্রতিমন্ত্রীর সমমর্যাদা দেওয়ার পরে সেই সংখ্যা অতিক্রম করে যাচ্ছে। প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, পরিষদীয় সচিব নিয়োগের প্রয়োজন কী? রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভা ও মন্ত্রীদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করবেন এই সচিবেরা। তিনি বলেন, মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন রাজ্যপাল আর সচিবদের নিয়োগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই সচিবেরা প্রতিমন্ত্রীর সমমর্যাদার হলেও প্রতিমন্ত্রী নন। ১৯৫২ সালে এই সচিব নিয়োগের নজির রয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে বলে কোন কোন রাজ্যে এই ধরনের সচিব-পদ রয়েছে, হলফনামায় তা জানাতে হবে।
|
তথ্য-প্রশিক্ষণ পঞ্চায়েতে |
পাঁচ বছর আগে এ রাজ্যে তথ্য জানার অধিকার আইন চালু হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ পঞ্চায়েত প্রধান এখনও তার খুঁটিনাটি জানেন না। অথচ গ্রামেগঞ্জে একেবারে নিচু স্তরে সাধারণ মানুষকে তথ্য জানানোর দায়িত্ব তাঁদেরই দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রধানদের প্রশিক্ষিত করতে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ শিবির করবে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর। ওই দফতরের সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন বলেন, “মানুষকে নির্দিষ্ট তথ্য সরবরাহ না-করায় বছরে যত লোকের আর্থিক জরিমানা হয়, তার ৩৩ শতাংশই পঞ্চায়েত প্রধান। ওই আইন সম্পর্কে সম্যক ধারণা না-থাকার জন্যই এই অবস্থা। তাই পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।” রাজ্যে ৩৩৫৪টি পঞ্চায়েত আছে, পঞ্চায়েত সমিতির সংখ্যা ৩৩৩।
|
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রাণ তহবিলে টাকা না থাকলে বাম বিধায়করা দু’-তিন মাসের বেতন সেখানে দিতে প্রস্তুত বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল শূন্য হয়ে যাওয়ায় সরকারি কোষাগার থেকে ওই তহবিলে এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এটা ‘বেনজির’ বলে মন্তব্য করে সূর্যবাবু বলেন, “এমন দুরবস্থার কথা কখনও শুনিনি। সরকারি কোষাগার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা দেওয়া হচ্ছে, এর থেকে খারাপ দৃষ্টান্ত আর কিছু হতে পারে না। তেমন হলে আমরা, বিধায়করা দু’-তিন মাসের টাকা দিতে পারি। বাকি টাকার ওঁরা ব্যবস্থা করুন।” এ দিন কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রও এ বিষয়ে সরব হন। তিনি বলেন, “ওই তহবিল একেবারে শূন্য করে না দিতে স্পিকার যেন মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।”
|
ভোট-জট কাটাতে সর্বদল দাবি |
রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরোধে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে যে-অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তা কাটাতে সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি জানাল বিজেপি। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি রাহুল সিংহ বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রকে স্মারকলিপি দিয়ে এই দাবি জানান। পরে তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচন যদি ছ’দফায় হতে পারে, পঞ্চায়েত ভোট তিন দফায় হতে অসুবিধে কোথায়? সরকারের আপত্তি দেখে মনে হচ্ছে, কোনও দুরভিসন্ধি রয়েছে। তাই সর্বদল বৈঠকের দাবি জানিয়েছি। সেখানে কমিশনের প্রতিনিধিও থাকবেন। ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।”
|
মাধব। বিষ্ণুর নানা রূপের অন্যতম। বীরভূমের নানুরের বেলুটি গ্রামে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে পুকুরের মাটি কাটতে গিয়ে পাওয়া গেল এই মূর্তি। রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতরের উপ-অধিকর্তা অমল রায় বলেন, “মূর্তিটি আনুমানিক একাদশ শতকের। কালো পাথরের তৈরি মূর্তির নীচে উৎকীর্ণ লিপিটি থেকে বোঝা যাচ্ছে এটি কৃষ্ণের মাধব রূপের একটি নিদর্শন।” লম্বায় প্রায় দেড় ফুট। উদ্ধারের পরে বাসিন্দারা সেটিকে স্থানীয় নারায়ণ মন্দিরে রেখে পূজো শুরু করে দেন। ছবিটি তুলেছেন সোমনাথ মুস্তাফি। |