আনুষ্ঠানিক ভাবে চিনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিলেন শি জিনপিং। তাঁর প্রেসিডেন্ট পদের উপরে সিলমোহর লাগাল আইনসভা ন্যাশনাল পিপলস্ কংগ্রেস। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ স্তরে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরে আইনসভার এই সম্মতি অবশ্য প্রত্যাশিতই।
নভেম্বরেই দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন জিনপিং। প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি চিনা সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতাও এখন তিনি। আজ কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনেরও চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি। ফলে, দেশের সব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু এখন জিনপিং-ই। ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন লি ইউয়ানচাও। শুক্রবার একই ভাবে লি কেকিয়াংয়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় সিলমোহর দেবে গণ কংগ্রেস।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, নতুন প্রেসিডেন্টের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। দুর্নীতি মোকাবিলা ও রাজনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে নয়া প্রেসিডেন্ট কড়া পদক্ষেপ করবেন বলেই আশা গণ কংগ্রেসের সদস্য তথা চিনা জনসাধারণের।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সমস্যার অভাব নেই। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্প্রতি আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। সেই সমস্যা নিয়েও মাথা ঘামাতে হবে জিনপিংকে।
তবে নতুন প্রেসিডেন্টের আমলে যে চিনে কমিউনিস্ট একনায়কতন্ত্রের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না তা নিশ্চিত। অন্যতম সরকার-বিরোধী আন্দোলনকারী হু জিয়াকে গতকালই ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গোলমাল পাকানোর চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। জিয়া জানিয়েছেন, চিনের জেলে বন্দি নোবেলজয়ী লিউ জিয়াবোর স্ত্রীর বাড়িতে কিছু আন্দোলনকারীকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। গণ কংগ্রেসের অধিবেশনের সময়ে কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনা করে কয়েকটি প্রবন্ধও লিখেছিলেন। তাই হয়তো তাঁর বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে পুলিশ।
|
দশ মাসের ছেলেকে কোলে নিয়েই আট তলা বাড়ির জানলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন মা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে ঘটনাচক্রে বেঁচে গেল শিশুটি। তদন্তের সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশকর্মীই উদ্ধার করে শিশুটিকে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশুটির অবস্থা এখন স্থিতিশীল। পুলিশ সূত্রের খবর, আত্মঘাতী ওই মহিলার নাম সিন্থিয়া ওয়াশেনহেইম। নিউ ইয়র্ক শহরের এক বহুতল আবাসনে স্বামী, সন্তান নিয়ে থাকতেন বছর চল্লিশের সিন্থিয়া। তাঁর ঘর থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। অনুমান, দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন ওই মহিলা। যার জেরেই হয়তো এই পদক্ষেপ। |