অবশেষে এক ছাদের তলায় শিশু ও মহিলা বিভাগকে নিয়ে আসার তোড়জোড় শুরু হল মেদিনীপুর মেডিক্যালে। এ জন্য নতুন ভবন তৈরি হবে। কাল, শুক্রবার ওই প্রস্তাবিত ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা দুই মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও সুকুমার হাঁসদার। সৌমেনবাবু মেদিনীপুর মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানও। হাসপাতাল সুপার যুগল কর বলেন, “শুক্রবার শিলান্যাস অনুষ্ঠান হবে। নতুন ভবন হলে রোগীরা উপকৃত হবেন।”
রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকেও বিষয়টি আলোচনা হয়। অভিযোগ ছিল, অর্থ বরাদ্দ হলেও কাজ শুরুর ক্ষেত্রে গড়িমসি করা হচ্ছে। এরপরই নড়েচড়ে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সমিতির চেয়ারম্যান জানান, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে। নতুন ভবন তৈরির জন্য ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়েছে। জায়গা প্রয়োজন প্রায় ১ হাজার ৮০০ বর্গমিটার। আপাতত চারতলা ভবন হবে। হাসপাতাল চত্বরেই প্রয়োজনীয় জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যালে শিশু ও মহিলা বিভাগ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে রোগীর পরিবারের লোকেদের বচসাও হয়। এমন পরিস্থিতির জেরে অন্য রোগীদের সমস্যায় পড়তে হয়। শয্যার অভাবে একই শয্যায় দু’জনকে থাকতে হয়।
নতুন ভবন হলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন রোগীর পরিজনেরা। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সামান্য কিছু হলেই ব্লক হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে শিশুদের ‘রেফার’ করা হয়। কোনও শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। শয্যার অভাবেই একটি শয্যায় দু’জনকে রাখতে হয়। নতুন ভবন তৈরি হলে শয্যা সংখ্যা বাড়বে। স্থানাভাব থাকবে না।
ক’মাস আগে মেদিনীপুর মেডিক্যালে এসএনসিইউ চালু হয়েছে। এখানে ১২টি শয্যা রয়েছে। এসএনসিইউ চালুর ফলে ‘সঙ্কটজনক’ শিশুদের উপর ‘বিশেষ’ নজর রাখা সম্ভব হচ্ছে। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৮০- ৮৫টি শিশু ভর্তি থাকে। নতুন ভবন তৈরি হলে শয্যা সংখ্যা বাড়বে। ফলে, ‘চাপ’ কিছুটা কমবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন ভবনটি আটতলার হবে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। তবে আপাতত বরাদ্দ হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। বরাদ্দ অর্থে চারতলা ভবন তৈরি হবে। |