টুকরো খবর
মোবাইল বন্ধ করুন, চিৎকার বিধানসভায়
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তখন বিধানসভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে অ্যাডমিট কার্ডের সমস্যা নিয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য মন দিয়ে শুনছিলেন সকলেই। আচমকা চিৎকার ভেসে আসে স্পিকারের চেয়ার থেকে। তখন সভা চালানোর দায়িত্বে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ। তাঁর চিৎকারে থমকে থেমে যান ব্রাত্যবাবু। দেখা যায়, দূরে কংগ্রেস বেঞ্চের দিকে আঙুল তুলে সোনালিদেবী চেঁচিয়ে বলছেন, “ফোনটা বন্ধ করুন। মোবাইলে কথা বলবেন না।” একসঙ্গে সব বিধায়কের নজর ঘুরে যায় সে-দিকে। দেখা যায়, একটি সাদা চুলের মাথা টেবিলের পাশে ঝুঁকে নিজেকে প্রাণপণে আড়াল করে কিছু একটা করছেন। অভিজ্ঞতা বলে, বিধানসভায় শুধু মোবাইলে কথা বলার জন্যই বিধায়কেরা (কখনও কখনও উপস্থিত সাংবাদিকেরাও) ওই ভাবে মাথা ঝুঁকিয়ে আড়াল খোঁজার চেষ্টা করেন। বুধবার ওই পাকা মাথাও মোবাইলে কথা বলছিলেন। তিনি কংগ্রেসের বিধায়ক, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রমথনাথ রায়। সোনালিদেবীর চিৎকারে কথা বন্ধ করেন তিনি। তাঁর মোবাইল জমা রাখতে হয় ডেপুটি স্পিকারের কাছে। বিধানসভার ভিতরে মোবাইল ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ।

কারখানা বন্ধ রুখতে আইনের পথে
যখন-তখন মালিক পক্ষ যাতে কারখানায় কাজ বন্ধের নোটিস ঝুলিয়ে দিতে না-পারে, তার জন্য আইনি পরামর্শ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বুধবার বিধানসভায় বলেন, আইনের পথেই কারখানা বন্ধ করার প্রবণতা রুখতে চায় সরকার। তিনি জানান, অনেক শিল্প-কারখানাতেই শ্রমিকেরা প্রাপ্য মজুরি পান না। শ্রমিকদের ইএসআই, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা জমা না-দেওয়ার প্রবণতাও রয়েছে এক শ্রেণির মালিকের। সেই প্রবণতা থেকেই যখন-তখন কাজ বন্ধের নোটিস ঝুলিয়ে দেন অনেকে। এই প্রবণতা রুখতে কোনও আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা যায় কি না, সেই ব্যাপারে আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা, সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র এ দিন বন্ধ কারখানা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পূর্ণেন্দুবাবু জানান, ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১২ সালের শেষ পর্যন্ত রাজ্যের ৩৯টি কারখানায় কাজ বন্ধের নোটিস লটকে দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ১১টি কারখানা বন্ধই আছে। রাজ্যে এখন মোট ২০৬টি কারখানা বন্ধ বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ওই সব কারখানার ১৯ হাজার ৮৬৯ জন শ্রমিককে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা ভাতা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

নিয়োগ পরীক্ষা
প্রায় ৩৫ হাজার শূন্য প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা হবে ৩১ মার্চ। আবেদনকারীর সংখ্যা ৫৫ লক্ষ। ৫,৫০০ কেন্দ্রে ওই দিন বেলা ১টা থেকে ২টো পর্যন্ত পরীক্ষা হবে। বুধবার বিকাশ ভবনে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এক আধিকারিক পরে বলেন, “২০ মার্চ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম জানা যাবে।”

স্পিকারের কাছে
সরকার ছেড়ে আসার এত দিন পরেও কখনও কখনও তাঁদের বিরোধী দল হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে না বলে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানালেন কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব। চিঠিতে তিনি বলেছেন, বাজেট আলোচনায় আমাদের বিরোধী দল হিসেবে সময় দেওয়া হচ্ছে। অথচ উল্লেখ ও দৃষ্টি আকর্ষণী পর্বে শাসক দল হিসেবে আমাদের ভাবা হচ্ছে। ভুল শুধরে নেওয়া হোক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.