|
|
|
|
এনায়েতপুর |
ফের মাটি খুঁড়ে মিলল বন্দুক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের মাটি খুঁড়ে অস্ত্র উদ্ধার হল মেদিনীপুর সদর ব্লকের এনায়েতপুর থেকে। পাওয়া গিয়েছে মোট ৭০টি বন্দুক-রাইফেল। তবে সবই বছর তিনেকের পুরনো ও বর্তমানে অকেজো। তৃণমূলের দাবি, ‘সশস্ত্র শিবির’ গড়ে সিপিএম যখন ‘জঙ্গলমহল পুনর্দখল’ অভিযানে নেমেছিল, সেই পর্বেই এই অস্ত্রশস্ত্র মজুত করা হয়। সিপিএমের অবশ্য বক্তব্য, মাওবাদী সক্রিয়তার সময় এই সব অস্ত্র মজুত করা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেআইনি অস্ত্রের খোঁজে আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চলছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এ দিন সকালে এনায়েতপুর হাট সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় যৌথ বাহিনী। মাটি খোঁড়া হয়। উদ্ধার হয় বন্দুক-রাইফেল। যে ৭০টি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে ৬১টি দেশি একনলা বন্দুক। বাকি ৯টি রাইফেল। সবই অবশ্য পুরনো, অচল। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “সিপিএমের লোকজন পুঁতে রাখা অস্ত্রশস্ত্র নিতে এসেছিল। একটা গাড়িও আনা হয়েছিল। ওই গাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।” |
|
এনায়েতপুরে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। |
সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। তার আগে এ সবই ষড়যন্ত্র। এক সময়ে যেখানে মাওবাদী প্রভাব ছিল, সেখান থেকেই অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।”
এনায়াতপুরে অস্ত্র উদ্ধার এই প্রথম নয়। রাজ্যে পালাবদলের পর কয়েক দফায় এখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র মেলে। সিপিএমের মণিদহ লোকাল কমিটির অফিসের অদূরে মাটি খুঁড়ে এ কে ৫৬-ও উদ্ধার হয়। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে সিপিএমের এই দলীয় কার্যালয়েই হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। ওই পর্বে সদর ব্লকের ধেড়ুয়া, চাঁদড়া ও তার আশপাশে প্রভাব বাড়িয়েছিল জনগণের কমিটি ও মাওবাদীরা। এখন অবশ্য এলাকায় মাওবাদী বা সিপিএম, কারওরই প্রভাব নেই। স্থানীয় মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েত খাতায়কলমে সিপিএমের দখলে থাকলেও গোটা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে তৃণমূলই। এ দিন অস্ত্র উদ্ধারের পর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বই পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সিপিএমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে এ দিন এলাকায় মিছিলও করে তৃণমূল। |
|
|
|
|
|