টুকরো খবর
পরীক্ষার্থীদের ব্যাগে সাপ
পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ব্যাগের মধ্যে আচমকা একটি সাপ ঢুকে পড়লে চাঞ্চল্য ছড়াল। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরের সোনালি বিদ্যালয়ে। শিক্ষিকা এবং ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অন্য একটি স্কুলের একজন শিক্ষাকর্মী এসে সাপটিকে ধরলে হাফ ছাড়েন সকলে। বন দফতরকে খবর দিয়ে সাপটিকে কাছেই একটি পানা পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিকের জলপাইগুড়ি ২ নম্বর সেন্টারের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সন্দীপ গুন বলেন, “পরীক্ষা স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। সাপটিকে ব্যাগের মধ্যে ঢুকতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায়।” উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বেলা ১২ টা নাগাদ সোনালি স্কুলের ৬ নম্বর ঘরের বাইরে সাপটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পরীক্ষার্থীরা। ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষিকাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃস্টি হয়। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত সহপ্রধান শিক্ষিকা স্বাতী সান্যাল বলেন, “আমরা ২৪ জন পরীক্ষার্থীকে পাশের একটি ঘরে সরিয়ে দিই। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা হয়।” হইচই শুনে সাপটি বারান্দায় রাখা ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগের স্তুপের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে স্কুলের একজন শিক্ষিকার মাধ্যমে ফণীন্দ্রদেব স্কুলের অশিক্ষক কর্মী মানসবন্ধু মজুমদার খবর পান। তিনি সাপ ধরায় পটু। জলপাইগুড়ির নেচার অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কোঅর্ডিনেটর এবং একজন স্বেচ্ছাসেবী খবর পেয়ে স্কুলে যান। সাপটি যাতে অন্যত্র না যায় সে জন্য স্কুলের কর্মীরা চারিদিকে ফিনাইল ছিটিয়ে দিতে থাকেন। মানসবাবু গিয়ে সাপটিকে ধরেন। সাপটি লম্বায় আড়াই ফুট। মানসবাবু জানান, সাপটি দাঁড়াষ প্রজাতির।

বনে খাদ্যভাণ্ডার গড়তে উদ্যোগ
বাঘের খাদ্য ভাণ্ডার ঠিক রাখতে বন্য শুয়োর ও হরিণ প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তুলতে উদ্যোগী হলেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। অনুমোদনের জন্য তা জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ অথরিটির কাছে পাঠানো হবে। ব্যাঘ্র প্রকল্পে উপক্ষেত্র অধিকর্তা (পূর্ব) ভাস্কর জেভি বলেন, “রাজাভাতখাওয়া, শামুকতলায় কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা হয়। কয়েক দিনে একটি প্রস্তাব অনুমোদনে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ অথরিটিকে পাঠানো হবে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে রাজাভাতখাওয়া এলাকায় কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য প্রায় ১০ হেক্টর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে সম্বর ও শুয়োর রাখা হবে। এ ছাড়া শামকুতলা এলাকায় তৈরি করা হবে হগ ডিয়ার প্রজনন কেন্দ্র। ওই প্রাণীগুলিকে বন্য পরিবেশে রাখা হবে। অসম থেকে হগ ডিয়ার আনার চিন্তাভাবনা আছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে উপক্ষেত্র অধিকর্তা বলেন, “২০১১ সালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বাঘসুমারিতে ১৬টি পুরুষ এবং ৪টি স্ত্রী বাঘের সন্ধান মিলেছে। ডিএনএ পরীক্ষায় এর প্রমাণ মিলেছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাঘ ছাড়াও জঙ্গলে চিতাবাঘ, বুনো কুকুর আছে। হরিণ ও শুয়োর ওই বুনোদেরও খাবার। গত বছর প্রায় দুশোটি চিতল হরিণ জঙ্গলে ছাড়া হয়। বুনো কুকুর বেশ কিছু হরিণ শিকার করে। তাই বাঘের খাদ্য ভান্ডারে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ওই কারণে প্রজননকেন্দ্র দু’টি তৈরি করে জঙ্গলে শুয়োর ও হরিণের জোগান ঠিক রাখার জন্য এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

ফের গণপ্রহারে মৃত্যু চিতাবাঘের
পুলিশ ও বনরক্ষীদের সামনেই ফের উত্তেজিত জনতার নির্দয় প্রহারে মারা পড়ল চিতাবাঘ। সব মিলিয়ে এই বছরে সাতটি ও চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বার গণ পিটুনিতে চিতাবাঘের মৃত্যু হল। সোমবার শিবসাগরের গেলেকিতে বনরক্ষী ও পুলিশের প্রতিরোধ উড়িয়ে চা বাগানের শ্রমিকরা চিতাবাঘ মারে। আজ একই ঘটনা ঘটেছে ডিব্রুগড় জেলায় খোয়াং রেঞ্জ এলাকায়। চিতা বাঘটিকে ধরে ঘুম পাড়ানোর আগেই তার আক্রমণে ঋকেশ্বর গগৈ ও সুরেশ চাওরা নামে দুই ব্যক্তি জখম হন। এরপর আর জনতাকে রোখা যায়নি।

কুকুরের পেটে কয়েনের থলি
পোষা কুকুরের পেটে অস্ত্রোপচার করে উদ্ধার হল ১.১১ ডলার মূল্যের কয়েন। ১৩ বছরের ওই পোষ্যটি তার মালিকের নজর এড়িয়ে হঠাৎই একদিন গিলে ফেলে কয়েনের থলি। শুরু হয় গুরুতর পেটের সমস্যা। নিউ ইয়র্কের পশু বিশেষজ্ঞদের চেষ্টায় অবশেষে প্রাণ ফিরে পেল কুকুরটি।

বরাহনগর ঝিল
বরাহনগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ঝিলের জলকে ডাঙা জমি দেখিয়েছে ভূমি দফতর (বিএলআরও)। ১০ বছর পরে এই ঝিলকে কেন্দ্র করে প্রোমোটার চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে এই দুর্নীতির সন্ধান পেয়েছে পুরসভা। বুধবার পুরপ্রধান অপর্ণা মৌলিক দুই চেয়ারম্যান কাউন্সিল সদস্য ব্রজেন মণ্ডল ও দিলীপ নারায়ণ বসুকে সঙ্গে নিয়ে তদন্তে যান। অপর্ণাদেবী বলেন, “পুরসভার তরফে কোনও গাফিলতি হয়নি। বিএলআরও-র রিপোর্ট দেখিয়ে এই জমির মিউটেশনের আবেদন করা হয়েছিল। বিএলআরও-র রিপোর্টে জলা জমিকে ডাঙা দেখানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আবেদন করা হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.