বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় স্ত্রী’র চোখে রড দিয়ে আঘাত করা ছাড়াও হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী-সহ ৪ জনের নামে। সোমবার রাতে মালদহের মানিকচক থানার খয়েরতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। বিউটি মণ্ডল নামের জখম ওই মহিলাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মেয়ের উপর হামলার অভিযোগে তাঁর মা রেবতী মণ্ডল জামাই সন্তোষ ও তার চার বন্ধুর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে পেশায় ট্যাক্সি চালক খয়েরতলা গ্রামের সন্তোষ মণ্ডলের সঙ্গে বিউটির বিয়ে হয়। দম্পতির ৫ বছর এবং ২ বছরের দুটি পুত্র রয়েছে। সম্প্রতি প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে সন্তোষের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাসিন্দারা এই সম্পর্কের কথা জানলেও বিউটিদেবী জানতেন না। বিষয়টি জানার পরেই দুই জনের গোলমাল শুরু হয়। স্ত্রীর নিষেধ, আপত্তির পরেও সন্তোষ ওই মহিলার সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করেননি বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে গোলমাল চরমে পৌঁছায়। সেই সময় অভিযুক্ত সন্তোষ স্ত্রীর উপরে হামলা করেন বলে অভিযোগ। সেই সময়ে অভিযুক্তের সঙ্গে তার তিন বন্ধুও ছিল।
বিউটির মা পুলিশকে জানিয়েছেন, মেয়ে রড দিয়ে মারধর করা হয়। এতে তাঁর ডান চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। হাত-পা ভেঙে যায়। তার পরে তিন বন্ধুর সাহায্যে সন্তোষ ওকে বাড়ির পিছনের বাঁশ বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। গোঙানির আওয়াজ পেয়ে বাঁশবাগান থেকে গ্রামবাসীরা জখম বিউটিদেবীকে তুলে নিয়ে প্রথমে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করান। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফিমেল সার্জিকাল ওয়ার্ডের বেডে বসে বিউটি বলেন, “স্বামীর সঙ্গে গ্রামের এক মহিলার সম্পর্ক চলছে। ওকে মহিলার সঙ্গে মেলামেশা করতে বারণ করতাম। সোমবার স্বামী, তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এসে আমার উপর চড়াও হয়। গ্রামবাসীরা উদ্ধার না করলে হয়ত মরেই যেতাম।” |