বিধ্বংসী আগুনে ১৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সোমবার গভীর রাতে তুফানগঞ্জ লাগোয়া দেওচড়াই মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। তুফানগঞ্জ থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন গিয়ে আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। মঙ্গলবার নাটাবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বাজার ঘুরে দেখেন। পরিষদীয় সচিব বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সাহায্যের ব্যাপারে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। দলীয় ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের টিন এবং ত্রিপল দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে।”
দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ চিলাখানা ২ পঞ্চায়েতের অধীন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া দেওচড়াই মোড় বাজার লাগোয়া চত্বরের একটি পানের দোকানে ধোঁয়া দেখেন এক বাসিন্দা। দমকা হাওয়ায় কিছুক্ষণের লাগোয়া আরও ১৫ দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ছাই হয়ে যায় হার্ডওয়ার সামগ্রী, কম্পিউটার, ওষুধ স্টেশনারি, গয়না, বই, টেলারিং, সব্জির দোকান। দমকলের প্রাথমিক সন্দেহ, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে ওই ঘটনা হয়েছে। |
দেওচড়াই মোড় ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক রণজিৎ রায় বলেন, “১৬ দোকান ছাই হয়েছে। ১ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না এলে কারও পক্ষে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল।” দমকলের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দমকল দেরিতে আসাই শুধু নয়, জল সংযোগ করে আগুন নেভানোর কাজেও তারা ঢিলেমি করে। সেই জন্যই ক্ষতির পরিমাণ এতটা বেড়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি। তৃণমূল কংগ্রেসের তুফানগঞ্জ ১ ব্লক কার্যকরী সভাপতি জগদীশ বর্মন এই দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, “দমকল দেরিতে আসে বলে আমাদের কাছে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ জানিয়েছেন।” দমকলের পক্ষ থেকে অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। তুফানগঞ্জের বিডিও তাপস সিংহ রায় এ দিন বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দ কর্মসংস্থান প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যাঙ্কঋণের ব্যবস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে।” |