নির্দিষ্ট স্থানে না যাওয়া নিয়ে গণ্ডগোলে সিটি অটো চালকের বিরুদ্ধে এক বাম কাউন্সিলরের মেয়েকে হাত ধরে টানার অভিযোগ ওঠে। ওই কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত চালককে মারধর করেন বলে পাল্টা অভিযোগ ওঠে। এর পরেই অটো চলাচল বন্ধ করেন চালকরা। পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ির কোর্ট মোড় এলাকায়। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ সুপার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “একটা সমস্যা হয়েছিল শুনেছি। কেউ অভিযোগ করেননি।”
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে জলপাই মোড় থেকে ওই কাউন্সিলরের মেয়ে সিটি অটোতে ওঠেন। তাঁর কোর্ট মোড়ে যাওয়ার কথা ছিল। অটোটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কোর্ট মোড়ে যাচ্ছিল। হিলকার্ট রোডে মহানন্দা সেতু সংলগ্ন মোড়ে পৌঁছে অটোটি আর যাবে না বলে যাত্রীদের নামিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে প্রতিবাদ করে ওই কাউন্সিলরের মেয়ে। পরে তিনি হেঁটে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের কাছে পৌঁছন। সে সময় ফের অটোটি পেছন থেকে আসে। সেখানেও অটো চালকের সঙ্গে কাউন্সিলরের মেয়ের বচসা হয়। সেই সময় ওই চালক তাঁর হাত টেনে ধরে বলে অভিযোগ করেছেন তরুণী।
বিষয়টি জানতে পেরে বাড়ি থেকে সঙ্গীদের নিয়ে কোর্ট মোড়ে পৌঁছন ওই কাউন্সিলর। তাঁর সঙ্গেও ওই চালকের বচসা শুরু হয়। সে সময় কাউন্সিলর তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ক্ষুব্ধ চালকরা অটো বন্ধ করে দেন। দুপুর ১টা থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা অটো বন্ধ থাকে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে কাউন্সিলরের সঙ্গে অটো চালক ও মালিক সংগঠনের বৈঠক হয়। সেখানে দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ না জাননোর সিদ্ধান্ত নেন। সিটি অটো চালক ও মালিক সংগঠনের নেতা নির্মল সরকার বলেন, “দু’পক্ষই আলোচনায় বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছে। বুধবার থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। এখন চালকদের আন্দোলনে যাওয়া উচিত নয়। বিষয়টি দু’পক্ষই বুঝেছেন।” |